রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জলাশয়ের অভাব, জাঁগ দেয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় চাষিরা
মো. গোলাম ফারুক, দুপচাঁচিয়া (বগুড়া) থেকে
দুপচাঁচিয়া উপজেলায় অন্যান্য কৃষিজাত ফসল চাষের পাশাপাশি এলাকার চাষিরা সোনালী আঁশ হিসাবে খ্যাত পাটের চাষও করত ব্যাপক হারে। বর্তমানে এলাকায় এই পাট জাঁক দেয়ার জলাশয়ের অভাবে চাষিরা চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে। বগুড়ার শস্য ভা-ার হিসাবে পরিচিত দুপচাঁচিয়া উপজেলা। সরেজমিনে এলাকা ঘুরে ও বিভিন্ন কৃষকের কাছ থেকে জানা গেছে, মাত্র কয়েক বছর আগেও এ উপজেলায় বিভিন্ন নালা, ডোবা, পুকুর ছিল। কৃষকরা পাট চাষ করে সেসব জলাশয়ে জাঁক দিত। কিন্তু বর্তমানে এসব জলাশয় অনেকেই ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, চাতালসহ বাসা বাড়ি নির্মাণ করেছে। আবার কেউবা সংস্কার করে মাছ চাষ করছে। এতে পাট জাঁক দেয়ার জলাশয়ের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোস্তফা কামাল হোসেনের সাথে কথা বলে জানা যায়, এ উপজেলায় নানাবিধ কারণে পাটের আবাদ খুব একটা ভালো হয় না। চলতি বছরে এ উপজেলায় ২০ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশী ৫ হেক্টর ও তোষা ১৫ হেক্টর। এবার চাষিরা দেশী কোনো পাট চাষ না করলেও ১৫ হেক্টর জমিতে তোষা পাটের চাষ করেছে। চাষিরা দেশী পাটের আবাদ না করা প্রসঙ্গে ‘দৈনিক ইনকিলাব’-কে জানান, দেশী পাটের দাম নেই, ফলনও কম। আবার তোষাপাটের দাম বেশি ফলনও বেশি। তাই চাষিরা তোষা পাটের চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। কিন্তু জলাশয়ের অভাবে এলাকার চাষিরা এই তোষা পাট চাষের তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। এত প্রতিকূলতার মাঝেও উপজেলা সদরের মাসিন্দা গ্রামের মনছুর রহমান ও আব্দুল জলিল তিন বিঘা জমিতে পাট আবাদ করেছেন। বর্তমানে পাটের যে সতেজ চেহারা হয়েছে, তাতে ফলনও বাম্পার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু এ মুহূর্তে ওই পাট চাষি পাট জাঁক দেয়ার জলাশয়ের অভাবে চিন্তায় পড়েছে। পাট চাষি মনছুর রহমান জানান, ইতোমধ্যেই পাট জাঁগ দেয়ার জন্য গ্রামের একটি ডোবা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পত্তন নিয়েছেন। উপজেলার অনেক পাট চাষি জাঁক দেয়ার চিন্তায় বিড়ম্বনার মধ্যে রয়েছেন। এতে চাষিরা আগামীতে পাটচাষে আগ্রহ হেরে ফেলছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।