Inqilab Logo

বুধবার ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১০ আশ্বিন ১৪৩১, ২১ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

জালিয়াতি কমাতেই ব্যাংক কমানো হচ্ছে

ভারতে প্রবৃদ্ধি ৬ বছরে সর্বনিম্ন, ২৭ ব্যাংক একীভ‚ত হয়ে ১২টি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

গত অর্থবছরে ভারতে ব্যাংক জালিয়াতির পরিমাণ এক লাফে ৭৪ শতাংশ বেড়ে যায়। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতেই এ জালিয়াতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের (রিজার্ভ ব্যাংক) এ প্রতিবেদনের পরদিনই ব্যাংকিং সেক্টরে নোট বাতিলের মতো আরেকটি বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল ক্ষমতাসীন মোদি সরকার। শুক্রবার সংবাদ সম্মেলন করে দেশটির রাষ্ট্রমালিকানাধীন দশটি ব্যাংককে মিশিয়ে চারটি ব্যাংকে পরিণত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। টাইমস অব ইন্ডিয়া। বিকালে নয়াদিল্লির শাস্ত্রী ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে নির্মলা জানান, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, ওরিয়েন্টাল ব্যাংক অব কমার্স ও ইউনাইটেড ব্যাংক অব ইন্ডিয়া- এই তিনটি ব্যাংক মিশে গিয়ে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক হবে। স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার পর এটিই হবে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যাংক। এদের ব্যবসার আয়তন হবে ১৭ লাখ ৯৫ হাজার কোটি টাকা। গোটা ভারতে তাদের ১১৪৩৭টি শাখা রয়েছে। এরই পাশাপাশি মিশিয়ে দেয়া হবে কানাডা ব্যাংক ও সিন্ডিকেট ব্যাংক। এই দুই ব্যাংকের সমষ্টিগত ব্যবসার পরিমাণ ১৫ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা। ফলে এরা মিশে নতুন যে ব্যাংক হবে তা হবে দেশের চতুর্থ বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। সেই সঙ্গে মিশে যাবে ইউনিয়ন ব্যাংক, অন্ধ্র ব্যাংক ও কর্পোরেশন ব্যাংক। তারা মিশে গিয়ে পঞ্চম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক তৈরি হবে। সর্বোপরি মিশিয়ে দেয়া হবে এলাহাবাদ ব্যাংক ও ইন্ডিয়ান ব্যাংককে। এই দু’ব্যাংকের মোট ব্যবসার আয়তন হল ৮ লাখ ৮ হাজার কোটি টাকা। এরা হবে দেশের সপ্তম বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী এদিন জানান, এর আগেই স্টেট ব্যাংকের অ্যামালগ্যামেশন হয়েছে। এর ফলে স্টেট ব্যাংক এখন দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক। এবার সেই একই পথে হেঁটে দেশের সব বড় ব্যাংককেই একাধিক ছাতার তলায় আনা হল। এর ফলে দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা মজবুত হবে বলেই দাবি অর্থমন্ত্রীর। গত ৬ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তলানিতে এসে ঠেকেছে। দেশটির সরকারের দেয়া পরিসংখ্যান সেই সংকটের কথাই তুলে ধরেছে। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি চলতি অর্থবছরের প্রথম তিন মাসে ৫ শতাংশে নেমে দাঁড়িয়েছে। ভারতে গত জানুয়ারি থেকে মার্চ প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৫.৮ শতাংশ। সেটাও কমেছে আবার। অথচ ২০১৮ সালের ৩০ জুন দেশটির প্রবৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশ। ২০১৩ সালে সর্বশেষ তলানিতে ঠেকেছিল ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি। ওই বছরের মার্চে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৪.৩ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছিল। ২০১৩ সালে দেশের অর্থনীতির এমন নাজুক অবস্থার কারণে তৎকালীন কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন মনমোহন সিংয়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিল বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা বিজেপি। এনডিটিভি, টিওআই।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ