বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে। ঋতু পরিবর্তন ও বৈরি আবহাওয়ার ফলে এ রোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। যার মধ্যে বেশীরভাগই শিশু। গত ১ সপ্তাহ ধরে মোড়েলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০ জন রোগী চিকিৎসা নিতে ভর্তি হচ্ছেন।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, ৫০ শয্যা হাসপাতালটির মহিলা বের্ডের কক্ষটিতে প্রতিটি বেডেই ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশু রোগী চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা। বেড না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগীরা। অভিভাবকদের ক্ষোভ রয়েছে বেড না পাওয়ার। তারপরও কষ্ট করে শিশুদেরকে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরবেন বলে আশা রোগীর স্বজনদের।
গত শনিবার থেকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যেসব শিশু রোগী গুলিশাখালী গ্রামের আরাফাত(৬মাস), সন্ন্যাসী গ্রামের মরিয়ম (১৭ মাস), সাজিদ (১ মাস), ধানসাগর গ্রামের আরাফাত (১৫ মাস), পিসি বারইখালী গ্রামের ওমর খলিফা( ১৫ মাস), কালিকাবাড়ি গ্রামের শর্মি (৭ মাস), ফুলহাতা গ্রামের মনিহা ( ১মাস), পূর্ব সরালিয়া গ্রামের জান্নাতি (৭ মাস), খাউলিয়া গ্রামের আবু কবর ( ৩মাস), বারইখালী গ্রামের সাইম (৩ মাস), ভাইজোড়া গ্রামের রাব্বি (৯ মাস), উত্তর সুতালড়ী গ্রামের ইউনুছ (১০ মাস), ধানসাগর গ্রামের ফাহিম (৯মাস, কালিকাবাড়ি গ্রামের তাইয়ব (আড়াই মাস), বিশারিঘাটা গ্রামের সুমাইয়া (১০ মাস) এ রকম অর্ধশত শিশু এ হাসপাতালে ১ সপ্তাহ ধরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
চিকিৎসা নিতে আশা অভিভাবক তানিয়া আক্তার (২৪), মনিরুল হক ফকির, শাহিদুল ইসলাম, সোহাগ খলিফাসহ একাধিক অভিভাবকরা ক্ষোভের সাথে বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ থেকে ৫০ শর্য্যায় রুপান্তিত হলেও এ সুফল পাচ্ছে না প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আশা রোগীরা। সংকট রয়েছে রোগীদের বেড পুরাতন জরার্জীণ অবস্থায় অনেক বেড থাকলেও তা মেরামত করা হচ্ছেনা।আর কিছু নাহলেও জরাজীর্ন বেড গুলো মেরামত করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আশা রোগীরা বেডে বসে চিকিৎসা নিতে পারতো। তার পরও বেড ছাড়াই ফ্লোরে থেকেই অনেকের চিকিৎসা নিতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে মোরেলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল হোসেন মুফতি বলেন, হঠাৎ বৈরি আবহাওয়া ঠান্ডা গরমের কারনে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় শিশু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চিকিৎসা ক্ষেত্রে সার্বক্ষনিক ওই সব শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে ৫ জন শিশু হাসপাতালে আসছে। এ কর্মকর্তা আরো বলেন, আবহাওয়া ভালো হলে এ প্রকোপ আর থাকবেনা। ৫০ শয্যা বেড থাকলেও প্রতিদিন ৭০ জন রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ইতোপূর্বে হাসপাতালের সমস্যার কথাও উর্দ্ধতন কর্মকতাদের অবহিত করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।