Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অতঃপর এনজিও ‘মুক্তির’ কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা

বাংলাদেশবিরোধী অপতৎপরতার অংশ হিসেবে রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহ

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার : | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রোহিঙ্গাদের অস্ত্র সরবরাহকারী বিতর্কিত এনজিও ‘মুক্তির’ কক্সবাজারে ছয়টি প্রকল্পে সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে এনজিও ব্যুরো। এখন থেকে এনজিও ব্যুরোর নির্দেশে ‘মুক্তি কক্সবাজারের’ সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।

সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের ১০ হাজার দেশীয় অস্ত্র সরবরাহের মারাত্মক অভিযোগ পাওয়া যায় মুক্তির বিরুদ্ধে। ‘মুক্তি কক্সবাজার’ গোপনে ওইসব অস্ত্র তৈরি করে তা রোহিঙ্গাদের মাঝে সরবরাহ করছিলো। এ সময় উখিয়া উপজেলা প্রশাসন এগুলো উদ্ধার করে।

অভিযোগ রয়েছে, মুক্তি কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের ঘিরে বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছিল। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দাঁড় করাতেই গোপনে বিপুল দেশীয় অস্ত্র সরবরাহ করে জঙ্গি তৎপরতায় সক্রিয় করতে চেয়েছিল। এ ঘটনা ধরা পড়ার পর সর্বস্তরের মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। সর্বত্র চলছিল সমালোচনা ও প্রতিবাদ। বিতর্কিত এনজিও ‘মুক্তির’ সকল কার্যক্রম স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেয়ার দাবি ওঠে সচেতন মহলে।
আগে থেকেই উস্কানি দিয়ে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরতে না দেয়ার পাশাপাশি কতিপয় এনজিওর বিরুদ্ধে রয়েছে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্ত্র সরবরাহের মত গুরুতর অভিযোগ। গত সোমবার উখিয়ার কোটবাজারে ভালুকিয়া সড়কের একটি কামারের দোকান থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। এতে করে তা প্রমানিত হয়। এসব দেশীয় অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে, দা, কিরিচসহ অনেক অপরিচিত অস্ত্র। এ ছাড়াও ২৫ আগষ্ট রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মহা সমাবেশেও এনজিওরা অঢেল টাকা ও অস্ত্র দিয়ে রোহিঙ্গাদের সাহস যুগিয়েছিল বলেও অভিযোগ রয়েছে। গত সোমবার সকাল ১১ টায় অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া উখিয়া উপজেলার সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফখরুল ইসলাম রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরনের জন্য বেসরকারি এনজিও মুক্তি এসব অস্ত্র তৈরি করতে দিয়েছিল বলে জানান। তিনি জানান, উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো এনজিও মুক্তির জন্য ভালুকিয়ার জনৈক সাইফুল তৈরির অর্ডার দিয়েছিল বলে জানা গেছে ।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিতরনের জন্য দেশীয় অস্ত্র তৈরির ঘটনায় চরমভাবে ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন স্থানীয় জনসাধারণ। তারা এনজিওগুলোর এসব অপতৎপরতা বন্ধ ও রোহিঙ্গাদের দ্রæত মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর দাবি জানান।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মুক্তির কার্যকরি পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ বলেন, এ বিষয়ে তার সাথে কোন আলাপ আলোচনা করা হয়নি। টেন্ডার করা হয়েছে কিনা? তাও তিনি জানেন না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ