Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জিবিএক্স লজিস্টিকসের আয়কর নথি তলব

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

বাংলাদেশী ফ্রেইট ফরোয়ার্ডিং কোম্পানি ‘জিবিএক্স লজিস্টিকস লিমিটেডে’র আয়কর নথি তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামি ১৪ অক্টোবরের মধ্যে জাতীয় রাজস্ববোর্ড (এনবিআর)-কে এ নথি আদালতে দাখিল করতে হবে। এক রিটের শুনানি শেষে গতকাল বৃহস্পতিবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এসএম মনিরুজ্জামানের ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিকে ‘৫৬ কোটি টাকার আয়কর দাবি পড়ে আছে এনবিআরে’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশিত হয় । প্রতিবেদনে বলা হয়, নিজেদের মতো করে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছিল একটি কোম্পানি। তাতে কোম্পানিটি আয় দেখিয়েছিল ১২ কোটি ১২ লাখ টাকা। ৬১ লাখ টাকার বেশি করও জমা দিয়েছিল তারা। কিন্তু এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সন্দেহ হলে তারা তদন্তে নামে। তাতেই বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। তাতে দেখাযায়, আলোচ্য কর বছরে কোম্পানিটি আয় করেছে ৩৬৬ কোটি ৬ লাখ ৪৩ হাজার টাকা। এ হিসেবে কোম্পানিটির মোট আয়করের পরিমাণ ৫৬ কোটি ৪৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এনবিআর’র তথ্যে দেখা যায়, জিবিএক্স লজিস্টিক আমদানি এবং রফতানিকারকদের নানা সেবা দিয়ে থাকে। তারা বিভিন্ন আমদানি ও রফতানিকারকদের মালামাল বিদেশে পাঠানোর জন্য জাহাজ এবং এয়ারলাইন্সের কার্গো স্পেস বুকিং করে থাকে। এ বিপরীতে সংশ্লিষ্ট আমদানি ও রফতানিকারকের কাছ থেকে কমিশন পায় তারা। কিন্তু ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কোম্পানিটি ওরিয়েন্ট এক্সপ্রেস লাইন এবং অপর বিদেশি কোম্পানি হ্যাপাগ লইয়েড থেকে যে কমিশন পেয়েছে, তার বিপরীতে উৎস কর বাবদ ৬১ লাখের একটু বেশি পরিমাণ টাকা জমা দেন। বিষয়টি নিয়ে এনবিআরের সন্দেহ হলে তারা তদন্তে নামে। এনবিআরের সেন্ট্রাল ইন্টিলিজেন্স সেল বিস্তারিত তদন্ত করে বিভিন্ন ব্যাংকে কোম্পানিটির ৬টি একাউন্টের সন্ধান পায়। এসব একাউন্টের লেনদেনও ওই সেলের নজরে আসে। তাতে দেখা যায়, আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির একাউন্টগুলোতে কমিশন বাবদ জমা হয়েছে ১৬১ কোটি ২৫ লাখ ১৬ হাজার ৮৬৯ টাকা। টাকাগুলো ব্যাংক এশিয়ার গুলশান শাখা, ওয়ান ব্যাংকের চট্টগ্রাম আগ্রাবাদ শাখা, জনতা ব্যাংকের চট্টগ্রাম পোর্ট কর্পোরেট শাখা, সোনালী ব্যাংকের কমলাপুর রেলস্টেশন শাখা, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা এবং এইচএসবিসি ব্যাংকে জমা হয়েছে। প্রতিবেদনটি যুক্ত করে অ্যাডভোকেট মনজুর নাহিদ রিট করেন। রিটের শুনানি শেষে আদালত উপরোক্ত আদেশ দেন। রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনীক আর হক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জিবিএক্স লজিস্টিকস
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ