Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

৪৮ বছরেও রাস্তাটি পাকা হয়নি

মো. রুহুল কুদ্দুস কেশবপুর (যশোর) থেকে | প্রকাশের সময় : ৩০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

যশোরের কেশবপুর উপজেলার গড়ভাঙা বাজার থেকে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ফকির রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা (মাটির) রাস্তার কারণে ১৫টি গ্রামের প্রায় লক্ষাধিক মানুষের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু রাস্তাটি স্বাধীনতার ৪৮ বছরেও পাকাকরণের কেউ উদ্যোগ নেইনি। যা আজও এ অঞ্চলের মানুষের কষ্টের কারণ।

এলাকাবাসী জানান, গড়ভাঙা বাজার থেকে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের ফকির (গোলাম আলী) রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা (মাটির) রাস্তা দিয়ে যে সকল গ্রামের লোকজন যাতায়াত করে সে সকল গ্রামগুলো হলো মনিরামপুরের মুজগুন্নি, নাগরঘোপ, চিনাটোলা, দূর্বাডাঙ্গা, কেশবপুরের, ইমাননগর, বেলোকাটি, সাগরদত্তকাটি, সাতাইশকাটি, রামভদ্রপুর, পাঁজিয়া, গড়ভাঙা, গ্রামের লোকজন প্রতিনিয়ত চলাচল করে। বর্তমান বর্ষা মৌসুমে এলাকার লোকজন কে গড়ভাঙা বাজার, চিনাটোলা ও ফকির রাস্তা বাজারে ঢুকতে ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার পথ ঘুরে গন্তব্যে স্থানে পৌছাতে হয়। গড়ভাঙা বাজারে ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেগুলো হলো, গড়ভাঙা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা, ঈমাননগর দাখিল মাদরাসা ও মুজগুন্নি প্রাথমিক বিদ্য্যালয়সহ কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মুজগুন্নি হাফিজিয়া মাদরাসা রয়েছে এবং নাগরঘোপ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ, শ্যামকুড় ইউনিয়ন পরিষদ ভবনসহ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে কয়েকটি।

এছাড়া প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চিনাটোলা বাজারে কাঁচা মালসহ যাবতীয় মালামাল ক্রয়-বিক্রয় হয়ে থাকে। এছাড়াও ইমাননগর গ্রামে আইচ ক্রীমের কাঠি তৈরির কারখানা রয়েছে। এ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাথীদের স্কুল কলেজে যাতায়াতের জন্য চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়। কাঁচামাল ব্যাবসায়ীদের ও একই অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় হাটু পর্যন্ত কাঁদা। গড়ভাঙা বাজারের ঔষধ ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি পাঁকাকরনের দাবি দীর্ঘ দিনের কিন্তু আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ইমাননগর গ্রামের আব্দুর রশিদ বলেন, রাতে ব্যবসা বানিজ্য শেষে বাড়ি ফিরতে খুবই দুরঅবস্থায় পড়তে হয়। রাস্তটি পাকাকরন খুবই প্রয়োজন। সংশ্লিষ্ট এলাকার ইউপি সদস্য আব্দুল আহাদ (আলবাহার) বলেন, জনগনের চলাচলে খুবই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি পাকাকরণ জরুরি প্রয়োজন।

পাঁজিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মুকুল বলেন, তার ইউনিয়নে অধিকাংশ রাস্তা পাকাকরন করা হয়েছে। দ্রæততম সময়ের মধ্যে এ রাস্তাটিও হয়ে যাবে।
কেশবপুর উপজেলা প্রকৌশলী মুনসুর আলী বলেন, রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে জ্ঞাত নই, তবে কি অবস্থায় আছে পরে জানানো হবে।

 



 

Show all comments
  • হাসিব হাসান জীবন ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৯, ৭:২৭ এএম says : 0
    বাবা চাচার আমল থেকে এই রাস্তার অবস্থা এরকম..ডিজিটাল দেশ হিসাবে উন্নত করতে হলে..রোড ঘাট নিরামোত হবে.তার পরে ব্যবসায় বানিজ্য করে.উন্নয়ন করতে হবে.তার পরে দেশ উন্নত হবে. কিন্তু 17টা গ্রামবাসী এই রাস্তা এখনো ঠিক হয়নি.আমি বলতে চাই আমাদের এই রোডটা অতিদূরত্ব কাজ হক..আমার সককারের প্রতি আস্তা আছে যে তিনি অতিদ্রুত কাজ করবেন.আস্তা ভাজক রহলো..রোডটা তুলে ধরার ও টেস্ক করার জন্য ধন্যবাদ আমি ও বলছিলাম আমাদের মনিরামপুরের মন্ত্রী সাহেব
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ৪৮ বছরেও রাস্তাটি পাকা হয়নি
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ