পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শুধুমাত্র মৌসুমি আয়োজন করে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা যাবে না। ডেঙ্গু পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এটা মনে করার কোনো কারণ নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে বলব, সারা বছরের প্রস্তুতি রাখতে হবে। মৌসুমি আয়োজন দিয়ে ডেঙ্গুর বিস্তার রোধ করা যাবে না। এসব রোগ বাংলাদেশে শুরু হয়েছে, চলবে। দিনক্ষণ দেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের আলোচনাসভায় তিনি এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী বলেন, আগস্টে পরিস্থিতি ভালো হয়েছে, সেপ্টেম্বরে শেষ হয়ে যাবে, আবার কোথাও কোথাও দেখছি সেপ্টেম্বরে আরও ভয়াবহ হবে। কাজেই দিনক্ষণ না দিয়ে, সারা বছরটাই বিবেচনায় আনতে হবে। এসব রোগের বিস্তার রোধে সারা বছরই আমাদের প্রস্তুতি রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, শুধু ওষুধ ছিটিয়ে এ রোগের বিস্তার ঠেকানো যাবে না। সবচেয়ে বড় ওষুধ হচ্ছে সচেতনতা। সেটা হচ্ছে মূল চিকিৎসা। আমি আশা করি, এ লড়াইয়ে আমাদের চিকিৎসকরা সফল হবেন।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদেশি কিছু এনজিও মিয়ানমারের পক্ষ হয়ে রোহিঙ্গাদের নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানান খেলা খেলছে। মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে। কোনো কোনো বিদেশি এনজিও পাকিস্তানপন্থীও আছে, তারা পদে পদে আমাদেরকে বিপদে ফেলতে চায়। তারা এক দিকে বঙ্গবন্ধুর দুই খুনিকে পাকিস্তানে আটকে রেখেছে। খুনিদের ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ চলছে আমেরিকা, কানাডা থেকে। কিন্তু পাকিস্তানে যে দুই খুনি আছে, তাদের কাজ দিয়েছে পাকিস্তান। আমি জানি না এ পরিস্থিতি কবে পরিবর্তন হবে।
সরকারকে বেকায়দায় ফেলাতে বিএনপি রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক হাতিয়ার বানিয়েছে বলে মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, স্বাভাবিক রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে নতুন ইস্যু খুঁজে পেয়েছে। তারা বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতে উঠেছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতিবাচক রাজনীতি করে বারবার ব্যর্থ হয়েছে। এখন তারা ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নিয়েছে। সর্বশেষ আমরা দেখছি রোহিঙ্গা ইস্যুকে তারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে, সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য।
তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ, নির্বাচনেও ব্যর্থ তারা। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর সেখানেও ব্যর্থ। স্কুলের ছেলেমেয়েদের নিরাপদ সড়কের আন্দোলনেও ভর করে তারা ব্যর্থ। অবশেষে রোহিঙ্গা ইস্যুর ওপর তারা ভর করেছে এখন। এখন রোহিঙ্গাদের নিয়ে নানা খেলা খেলছে বিএনপি। বিদেশি কিছু এনজিও ষড়যন্ত্র করছে, মিয়ানমারকে সহযোগিতা করছে পরোক্ষভাবে।
বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, আপনারা আপন অপরাধের শৃঙ্খলে পড়ে গেছেন, আপন অপরাধের শৃঙ্খলে আপনারা জড়িত হয়ে গেছেন, আবদ্ধ হয়ে গেছেন। ইতিহাস ক্ষমা করবে না। জনতার আদালত ক্ষমা করবে না।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়–য়ার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আর্সশনাল, বিএমএ মহাসচিব ডা. মো ইহতেশামুল হক চৌধুরী ও স্বাচিপ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ বক্তব্য দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।