Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চামড়া সংকট রোধে নতুন পরিকল্পনা নিচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৮ আগস্ট, ২০১৯, ৬:৫৬ পিএম

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আগামীতে কাঁচা চামড়া সংগ্রহ নিয়ে বড় ধরনের কোন সংকট তৈরি করতে না পারে সে জন্য নতুনভাবে পরিকল্পনা করার হচ্ছে। তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সদিচ্ছার অভাবেই এবার কোরবানীর পশুর চামড়া সংগ্রহ নিয়ে বিশৃংখলা তৈরি হয়েছে।

বুধবার (২৮ আগস্ট) সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মার্কোসারভুক্ত দেশসমুহ সফর নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ সব কথা বলেন। এ সময় বাণিজ্য সিনিয়র সচিব মফিজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব তপন কান্তি ঘোষ, বিজিএমইএ’র প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক উপস্থিত ছিলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য নির্ধারন করে দেওয়া হলেও তা কার্যকর করা হয় নি। ব্যবসায়ীরা অনুরোধ করার পরও তারা সে দাম মানলেন না। তাই কাঁচা চামড়া রফতানির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বার বার বলা সত্ত্বেও ব্যবসায়ীরা সরকারি নির্দেশনা মানেন নি। তাই আগামী বছর যাতে এবারের মতো বিশৃংখলা পরিস্থিতি না হয় এবং সাধারন মানুষকে চামড়া নষ্ট করতে না হয় সেজন্য সুষ্ঠু পরিকল্পনা নিয়ে এগোতে হবে।

তিনি বলেন, চামড়া নিয়ে এবার আমার শিক্ষা হয়েছে। সে অভিজ্ঞতা নিয়ে একটি পরিকল্পনা নিতে যাচ্ছি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে। যাতে কাঁচা চামড়া নিয়ে ভবিষ্যতে কোন সমস্যা না হয়। তবে এবার চামড়া সংগ্রহে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ ছিলো না।

চামড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি কেবিনেটে যে নীতিমালা হয়েছে সে আলোকে কাজ করা হচ্ছে। প্রান্তিক পর্যায়ে যাতে ব্যবসায়ীরা মুল্য পায় সে জন্য কাঁচা চামড়া রফতানি করা হবে।

বাজারে পিঁয়াজের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে বাণিজ্য সচিব বলেন, পিঁয়াজ আমদানি নির্ভর। ভারতের বন্যার কারণে ১২ টাকার কেজি পিঁয়াজ ২৫ টাকা হয়ে গেছে। সেই প্রভাব বাংলাদেশের বাজারে পড়ে। তবে যে পরিমানে দাম বাড়ানো হয়েছে তাতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বেনা। ঈদের ১৫ দিন আগে হঠাৎ পিঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। তখন আমাদের তদারকিতে দাম নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। এখনও বাজারে মনিটরিং চলছে। আশা করছি পিঁয়াজের দাম নিয়ে তেমন কোন সমস্যা তৈরি হবে না।

এদিকে গত রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রপ্তানি সম্ভাবনাময় চামড়া খাতের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রপ্তানিযোগ্য চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের গুনগতমান মান বজায় রাখার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব উপায়ে কাঁচা চামড়া সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ঠ স্টেক হোল্ডারদের। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চামড়া শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে শিগগিরই আরো একটি সভা করা হবে।

উল্লেখ্য, সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দাম অনুযায়ী ঢাকায় কোরবানির গরুর প্রতিটি ২০ থেকে ৩৫ বর্গফুটের চামড়া লবণ দেওয়ার পরে ৯০০ থেকে এক হাজার ৭৫০ টাকায় কেনার কথা ট্যানারি মালিকদের। কিন্তু মৌসুমি ব্যবসায়ীরা ৩০০ থেকে ৫০০ টাকায় চামড়া কিনেছেন। আর রাজধানীর বাইরে দেশের অন্যান্য স্থানে চামড়া বেচা- কেনা হচ্ছে আরও কম দামে। ফলে এবার কোরবানীর পশুর চামড়া ব্যবসায়ীরা সংগ্রহ না করায় তৃণমূল পর্যায়ে হাজার হাজার পিস চামড়া মাটি চাপা দেওয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বাণিজ্য মন্ত্রণালয়


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ