পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সড়কের বেহাল দশার প্রতিবাদ জানিয়ে কর্দমাক্ত রাস্তায় ধানের বীজ রোপন করেছেন স্কুল ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। এছাড়া চলাচলের কোন উপায় না পেয়ে সড়কের উপরেই তৈরি করেছেন বাঁশের সাঁকো। রাস্তার এমন বেহাল দশায় দুর্ভোগে রয়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও পর্যটকসহ ওই এলাকার পাঁচ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ।
স্থানীয়রা জানায়, কুয়াকাটা পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের আংশিক পাঞ্জুপাড়া গ্রামের মধ্যবর্তী ও লতাচাপলী ইউনিয়নের মুসুল্লিয়াবাদ গ্রামের সড়ক এটি। শেষ ১৯৮৭ সালে এ সড়কটি কেয়ারের অর্থায়নে মাটির কাজ করে। এরপর দীর্ঘ দিনেও এ সড়কটি কোন সংস্কার করা হয়নি।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা সূর্যোদয় দেখতে এই সড়ক দিয়ে গঙ্গামতি যাতায়াত করে। এছাড়া একটি কলেজ, একটি প্রাইমারি স্কুল, একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদরাসার শিক্ষার্থীদের চলাচল এবং পাঁচ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র সড়ক এটি। অবাধে ৬ চাকার ট্রলি চলাচল ও প্রয়োজনীয় তদারকি না থাকায় সড়কটি মরণফাঁদে পরিনত হয়েছে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় সড়কটির প্রায় আধা কিলোমিটার জুড়ে হাটু সমান কর্দমাক্ত হয়ে আছে। দীর্ঘ দিন কোন ধরনের সংস্কার না হওয়ায় চাষ করা কৃষি জমিতে পরিনত হয়েছে রাস্তাটি।
এছাড়া এই সড়ক দিয়ে চলাচলকারী শিক্ষার্থীসহ গ্রামবাসীরা প্রায়ই ছোট দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। তাই গ্রামবাসীরা চলাচলের জন্য রাস্তার উপর বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ ওই সাঁকো পার হয়ে স্কুল কলেজে যাতায়াত করে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গতকাল মঙ্গলবার কয়েকজন মাদরাসা শিক্ষার্থী রাস্তায় ধানের বীজ বপন করে প্রতিবাদ জানিয়েছেন। তবে দ্রæততম সময়ের মধ্যে এ সড়কটি মেরামত কিংবা নতুন করে নির্মাণ করলে শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
মুসুল্লিয়াবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতী গতকাল সাঁকো পার হওয়ার সময় বই খাতা নিয়ে কাঁদার মধ্যে পড়ে গেছে তাই আর স্কুলে যেতে পারেনি। মুসুল্লিয়াবাদ ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার ইংরেজি প্রভাষক সাইদুর রহমান সাইদ জানান, ওই সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা প্রায় ছোট বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এছাড়া রাস্তা খারাপ হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির হার একটু কম।
লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনসার উদ্দীন মোল্লা জানান, সড়কটির বর্তমানে বেহাল দশা। স্থানীয় সংসদ সদস্য বরাবর এ সড়ক নির্মাণের জন্য আবেদন জানানো হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল মান্নান জানান, এ সড়কটি পাকা করণের জন্য প্রকল্প দেয়া হয়েছে। শিগগিরই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।