মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মিড-ডে মিলের নতুন মেনু দেখে ক’দিন ধরেই স্কুলের বারান্দা থেকে টিচার্স রুমে চাপা গুঞ্জন ছিল, বাঁধা বরাদ্দে ভাত, আলুপোস্ত, আস্ত ডিম, মাছের ঝোল, পাঁপড়, চাটনি— এমন বাহারি পদের সামাল দেওয়া যাবে কী করে, বরাদ্দ তো শিকলে বাঁধা!
সেখানে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত মিড-ডে মিলের বরাদ্দ ৪.৪৮ টাকা। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম ৬.৭১ টাকা। তাতে এই এলাহি আয়োজন হবে কী করে? কিন্তু সীমান্তের গাঁ-গঞ্জে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা খোঁয়াড়ে উঁকি মারলে ছবিটা বদলে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত বা পুরসভার আওতায় থাকা সেই সব খোঁয়াড়ে গরু-মোষের জন্য নিত্য বরাদ্দের অঙ্ক ১২০ থেকে ১৫০ টাকা! মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে সুতি, জলঙ্গি থেকে ভগবানগোলা, পদ্মা পার করে পাচার করার মুহূর্তে সীমান্তরক্ষীর হাতে আটক গরু খোঁয়াড়ে পাঠালে তার জন্য দৈনিক খরচের বরাদ্দ এমনই।
সীমান্তরক্ষীদের হাত ঘুরে আটক গরু থানা থেকে পাঠানো হচ্ছে স্থানীয় খোঁয়াড়ে। জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, ‘পাচারের মৌসুমে বিএসএফ গরু ধরলেই পাঠিয়ে দিচ্ছে থানায়। কিন্তু থানা তো আর গরুর গোয়াল নয়! তাই সেগুলোর ঠাঁই হচ্ছে স্থানীয় খোঁয়াড়ে। দু’টো-পাঁচটা থেকে সেই আটক গরুর সংখ্যাটা এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজারের বেশি। পঞ্চায়েতের নিয়ম মেনে পুলিশকে এখন নিত্য খোঁয়াড় মালিকের হাতে গরু প্রতি রাহা খরচ হিসেবে ১৩০ টাকা করে তুলে দিতে হচ্ছে।’
খোঁয়াড় মালিক জামাল শেখ বলছেন, ‘আগে তো মেরে কেটে পাঁচ-সাতটা গরু আসত। এখন এতগুলো গরু দেখভাল করতে হচ্ছে। ৬০ জন রাখাল রাখতে হয়েছে। প্রত্যেককে মাসে আট হাজার টাকা বেতন দিতে হচ্ছে। গরুকে খাওয়াতে বিপুল টাকা খরচ হচ্ছে। এ দিকে, টাকার দেখা নেই। সরকারের টেবিল ঘুরে টাকা আসতে তো বছর ঘুরে যাচ্ছে।’ সূত্র : আনন্দবাজার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।