মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আসামের নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি থেকে বিপুল সংখ্যক বাংলাভাষী হিন্দুর নাম বাদ পড়ায় তারাই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিজেপি। আসামে বাংলাভাষী হিন্দুরা শতকরা ১৮ শতাংশ। তারা হিন্দু ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত। ক্ষমতাসীন বিজেপিকে তাদের বেশির ভাগই সমর্থন করেন। এ জন্য বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত বিজেপি। অনলাইন এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, আসামের নাগরিকপঞ্জির খসড়া তালিকায় একের পর এক বাংলাভাষী হিন্দুর নাম না থাকায় উদ্বিগ্ন ভারতীয় জনতা পার্টি। নাম বাদ যাওয়া এমন একজন বাসিন্দা গুয়াহাটির ৫২ বছরের উমাকান্ত ভৌমিক। তিনি বাংলাভাষী একজন হিন্দু এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর আমল থেকেই বিজেপির সমর্থক। গত বছর প্রকাশিত আসামের নাগরিক তালিকা থেকে যাদের নাম বাদ পড়েছিল, তার মধ্যে তিনি এবং তার পরিবারও রয়েছেন। উমাকান্ত ভৌমিক আক্ষেপ করে বলেন, একবার নয়। সাত-সাতবারের জন্য আমি আমার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে পুনরায় যাচাইয়ের জন্য এনআরসি শুনানিতে গিয়েছি। কিন্তু এখন আর আমাদের খুব বেশি আশা নেই। আমি একেবারে শুরু থেকেই বিজেপির সমর্থক। আমরা বাংলাভাষী হিন্দুরাই আসামে বিজেপির প্রথম সমর্থক ছিলাম। আমরাই আসামে বিজেপির ঘাঁটি প্রতিষ্ঠা করেছি অথচ এখন যখন আমাদের এভাবে হয়রানি করা হচ্ছে তখন সরকার আমাদের সহায়তা করছে না। এনডিটিভি লিখেছে, ১৯৫১ সালে আসামে প্রথম প্রকাশিত নাগরিক তালিকা সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পরিবর্তিত হচ্ছে। আসামে বসবাসরত ভারতীয় নাগরিকদের মধ্যে যারা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চের পরে অবৈধভাবে বাংলাদেশ থেকে ওই রাজ্যে প্রবেশ করেছে তাদের তালিকা থেকে পৃথক করার জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে এনআরসি আপডেট করা হচ্ছে। এ তালিকা থেকে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ মানুষকে বাদ রাখা হয়েছে। অর্থাৎ তাদের নাম ওঠেনি ওই তালিকায়। এর বেশির ভাগই বাংলাভাষী মুসলিম। ভারত সরকার তাদেরকে দেশ থেকে বের করে দেয়ার কথা বলেছে। কিন্তু আসামের অনেকেই বলছেন, তারা এখনও এনআরসির খসড়া তালিকা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। এখানেই যখন এত সংশয় তখন ইতিমধ্যেই কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার অন্য রাজ্যগুলিতেও এনআরসি তালিকা প্রস্তুতের পরিকল্পনা করছে। অথচ আসামে ক্ষমতাসীন বিজেপিও খসড়া তালিকায় ভুল অন্তর্ভুক্তি এবং নাম বাদ যাওয়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। গত লোকসভা নির্বাচনে আসামের ১৪টির মধ্যে ৯টি আসন জিতেছে বিজেপি। মনে করা হয় যে, আদিবাসী, অসমিয়া হিন্দু এবং বাংলাভাষী হিন্দুদের ভোট একত্রিত হয়েই এই দুর্দান্ত ফল করতে পেরেছে বিজেপি।
সারা অসম বাঙালি ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা খসড়ায় যা লক্ষ্য করেছি তা হচ্ছে বাংলাভাষী হিন্দুরাই সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন এবং এর নেপথ্যে সরকারের তরফ থেকে অনেকগুলি খামতি রয়েছে। তার সংস্থাটি আসামে বাঙালি হিন্দুদের অধিকার রক্ষার্থে কাজ করে থাকে। এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।