পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারত জোরপূর্বক অস্ত্রের বলে কাশ্মীরকে জুলুমের রাজ্যে পরিণত করেছে। মোদী সরকার কাশ্মীরে স্মরণকালের যে পৈশাচিক-অমানবিক নির্যাতন ও মুসলিম নিধন চালাচ্ছে তা কোনো বিবেকবান মানুষ সহ্য করতে পারে না। জম্মু-কাশ্মীরে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলিন করে আরেকটি ফিলিস্তিন তৈরির মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় সরকার। এ অবস্থাায় বিশ্ববাসী কিছুতেই চুপ থাকতে পারে না। তাই বক্তারা কাশ্মীরের জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও স্বাধীনতার পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য বিশ্বের সকল শান্তিকামী রাষ্ট্র ও জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান। বিশেষ করে কাশ্মীর সংকট নিরসনে বক্তারা জাতিসংঘের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানান।
সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাংলাদেশ লেবার পার্টির উদ্যোগে ‘কাশ্মীর সংকট ঃ বিপন্ন মানবতা’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তরা এ কথা বলেন।
আলোচনায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা তাদের বক্তব্যে বলেন, বর্তমানে ভারতের নরেন্দ্র মোদী সরকার সাংবিধানিক বিশেষ মর্যাদাদান সম্বলিত ৩৭০ অনুচ্ছেদ বিলোপ এবং কাশ্মীরকে প্রশাসনিক বিভক্তিকরণের মাধ্যমে কাশ্মীরি জনগণের সাথে রাষ্ট্রীয় প্রতারণা করেছে। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বিলোপের পেছনের আসল উদ্দেশ্যে হচ্ছে মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ কাশ্মীরের ‘ডেমোগ্রাফি’ বা জনসংখ্যাগত চরিত্র বদলে দেয়া। জম্মু-কাশ্মীরে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিলিন করে আরেকটি ফিলিস্তিন তৈরির মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ভারতীয় সরকার। মোদী সরকারের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্বয়ং ভারতের অভ্যান্তরেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সহ শান্তিকামী জনগন প্রতিবাদ ও বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে।
বক্তারা বলেন, ভারত সরকার কাশ্মীরের নিরাপরাধ জনগণের অধিকার কেড়ে নিয়ে তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে চরমভাবে সরকারের দ্বারা মানবাধিকার লঙ্ঘনের মহোৎসব চলছে। কাশ্মীরের জনগণের ঘরে ক্ষুধা নিবারনের জন্য খাবার নেই, হাসপাতাল গুলোতে চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত ওষুধ নেই। গণগ্রেফতারের ফলে কারাগারে তিল ধারণের জায়গা নেই। পশু কুরবানির পরিবর্তে স্বজনদের হারিয়ে তাদের ঘরে ঘরে শোকের মাতম চলছে। ভারত সরকারের এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় বইছে। এ অবস্থাায় মুসলিম বিশ্ব, জাতিসংঘ সহ বিশ্বের মোড়ল রাষ্ট্রগুলো কিছুতেই চুপ থাকতে পারে না। একটি জনপদের শান্তিকামী জনগণকে যুগের পর যুগ জুলুম নির্যাতনের মুখে ফেলে রাখা কোনভাবেই সু-সভ্যতার পরিচায়ক হতে পারেনা। গোলটেবিল আলোচনা থেকে বক্তারা অবিলম্বে জম্মু-কাশ্মীরের মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষা ও তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে জাতিসংঘকে কার্যকর উদ্যোগ ও পদক্ষেপ গ্রহণ করার আহবান জানান।
বক্তারা বলেন, কাশ্মীরের জনগণ যুগের পর যুগ জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছে কিন্তু নিজেদের অধিকার ছাড়েনি এবং ছাড়বেও না। তাই ভারত সরকারের এই আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত পৃথিবীর ভূস্বর্গ খ্যাত শান্তির এ উপত্যকাকে আরো অস্থিার করে তুলবে এবং যার প্রভাবে গোটা ভারতীয় উপমহাদেশ অস্থিাতিশীল হয়ে উঠবে। যা আমাদের কারো কাম্য নয়। ফলে অনতিবিলম্বে কাশ্মীরের মুসলমানদেরকে ঘিরে সকল অন্যায় ও দমনপীড়নমূলক পদক্ষেপ থেকে বিরত হয়ে কাশ্মীরী জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ভারত সরকারের প্রতি বৈঠক থেকে আহবান জানানো হয়।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিাত ছিলেন প্রখ্যাত ইসলামী চিন্তাবিদ মাওলানা ড. কামাল উদ্দিন জাফরী। আরও বক্তাব্য রাখেন সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ব্যারিষ্টার হায়দার আলী, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, জমিয়তে ওলামায়ে ইসলামের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের আমীর মাওলানা ঈসা শাহেদী, খেলাফত মজলিশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী, এনডিপি চেয়ারম্যান কাজী আবু তাহের, লেবার পার্টির ঢাকা মহানগর সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, যুবমিশন আহবায়ক মুহিব্বুল্লাহ মেহেদী, ছাত্রমিশন সাধারন সম্পাদক শরিফুল ইসলাম প্রমুখ। সভায় প্রবন্ধ উপস্থাাপন করেন লেবার পার্টির মহাসচিব এডভোকেট ফারুক রহমান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।