Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ডেঙ্গু নিয়ে ডিসেম্বর পর্যন্ত সচেতন থাকতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৫ আগস্ট, ২০১৯, ৮:৩২ পিএম

দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে মোট মৃত্যুহার দশমিক ২ শতাংশেরও (শূণ্য দশমিক ২) কম। তবে মৃত্যুহারের দিক দিয়ে চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের মৃত্যুহার মোট মৃত্যুর প্রায় ৫ শতাংশ, যা সাধারণ মানুষের তুলনায় ২০ থেকে ২৫ গুণ বেশি। বিষয়টি অবশ্যই গবেষণার দাবি রাখে। এছাড়া ডেঙ্গু মোকাবিলায় চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।

রোববার (২৫ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সেমিনার সাব-কমিটির উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ‘ডেঙ্গু : বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিত শীর্ষক কেন্দ্রীয় সেমিনার’ এ এসব তথ্য জানানো হয়। সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারি হিসাব মতে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন ৬২ হাজারেরও বেশি রোগী এবং এর মধ্যে মারা গেছেন ৪৭ জন। তবে বেসরকারি হিসাব মতে মৃত্যুহার এর দ্বিগুণ। সরকারি অথবা বেসরকারি যে হিসাবই ধরা হোক না কেন চিকিৎসক, নার্স, ল্যাব টেকনিশিয়ানদের নিরলস প্রচেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট সবার সুন্দর ব্যবস্থাপনার কারণে শতকরা মৃত্যুহার দশমিক ২ শতাংশের নিচে রাখা সম্ভব হয়েছে এবং ডেঙ্গুর সার্বিক পরিস্থিতি মোকাবিলা করাও সম্ভব হয়েছে।

সেমিনারের প্রধান অতিথি বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বলেন, প্রতিরোধেই অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। মশা নিধনে ঢাকা সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেঙ্গু সেল চালু হওয়ার পর থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ১ হাজার ২১ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে ৩ জন মারা গেছেন। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন ৫ হাজার ৫৫৫ জন। যারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

ভিসি বলেন, সাধারণ জ্বরের রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার এখন ১০ শতাংশের মতো। তারপরও ডেঙ্গু রোগীর আক্রান্তের সংখ্যা আরও কমিয়ে আনতে হবে। এ জন্য সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে মশা নিধনে আরও তৎপর হতে হবে। সাথে সাথে সাধারণ জনগণকেও এডিস মশা কোথায় থাকে তা জেনে মশা নিধনের বিষয়ে আরও বেশি সচেতন হতে হবে। সেমিনারে বিশেষজ্ঞ ও আলোচকরা মশা নিধন, রোগ প্রতিরোধ ও যথাযথ চিকিৎসাসেবা প্রদানের ওপর আলোকপাত করেন। তারা বলেন, যত দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যাবে তত দ্রুত রোগীকে উন্নত চিকিৎসাসেবা প্রদান করা সম্ভব হবে, যা রোগীর জন্য অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ