বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন পরিচয়ে গাইবান্ধা অগ্রণী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা রঞ্জিনা খাতুনের ১৬ লাখ টাকা আত্মসাৎকারি প্রতারক নেত্রকোনার জহির রায়হানকে রোববার পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাইবান্ধা সদর থানার এসআই নওশাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল গাজীপুরের টঙ্গির পশ্চিম থানা এলাকার মওদাফা থেকে ওই প্রতারককে গ্রেফতার করে।
জানা গেছে, সাদুল্যাপুর উপজেলার বারবলদিয়া গ্রামের গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা একরামুল হকের স্ত্রী গৃহবধু রঞ্জিনা খাতুন গ্রামীণ ব্যাংকে ১৪ বছর চাকরি করার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেন এবং সার্ভিস বেনিফিটে প্রাপ্ত ১৭ লাখ ৪০ হাজার টাকা অগ্রণী ব্যাংক গাইবান্ধা শাখায় জমা রাখেন। এসময়ে ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে লাবিব আহমেদ ওরফে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নাহিদ নামে পরিচয় প্রদানকারির সাথে তার গোপনে উক্ত প্রতারকের সাথে গভীর সখ্যতা গড়ে উঠে। এই সুবাদে প্রতারক জহির রায়হান তার জমাকৃত টাকা সম্পর্কে অবগত হন এবং রঞ্জিনা খাতুনকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে পোস্ট অফিসে সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে টাকাগুলো জমা রাখার পরামর্শ দেন। এব্যাপারে তিনি সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন বলে রঞ্জিনাকে জানান।
এই আলাপের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দিষ্ট দিনে গত ২৮ জুলাই উক্ত জহির রায়হান রঞ্জিনাকে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করার জন্য পরামর্শ দেন এবং তিনি একটি প্রাইভেট কার নিয়ে সেখানে আসেন। এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংক থেকে ১৬ লাখ টাকা উত্তোলন করে রঞ্জিনার ৫ বছরের কন্যা সন্তান ঈশিতাকে নিয়ে কাউকে না জানিয়ে ওই প্রতারকের কথামত প্রাইভেট কারে উঠলে প্রতারক জহির রায়হান তাকে বগুড়ার দিকে নিয়ে যান। পরে পথে বগুড়ার মহাস্থানের কাছে নাহিদ গাড়ি খারাপ হয়েছে জানালে রঞ্জিনা তার শিশু সন্তানকে নিয়ে প্রকৃতির ডাকে টয়লেটে যায়। এরপর ফিরে এসে দেখে ক্যাপ্টেন নাহিদ পরিচয়দানকারি তার ১৬ লাখ টাকাসহ ভ্যানিটি ব্যাগ এবং ১১ হাজার টাকা মূল্যের মোবাইল সেটটি নিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর তার সাথে মোবাইলে ও ফেসবুকের ম্যাসেঞ্জারে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়ে রঞ্জিনা খাতুন গাইবান্ধা সদর থানায় গত ১৭ আগস্ট একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গাইবান্ধা সদর থানা পুলিশ জানায়, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন নাহিদ পরিচয়ে ইতোপূর্বে বিভিন্ন এলাকায় সে একাধিক প্রতারণা করেছে বলে সে স্বীকার করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।