বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
![img_img-1720384984](https://old.dailyinqilab.com/resources/images/cache/169x169x3_1678506381_AD-1.jpg)
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাঁচবিবি উপজেলার জীবনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ স্কুল শিক্ষার্থীকে পিটিয়ে বহিষ্কার করায় তাদের শিক্ষা জীবন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। গত ১ মাস থেকে স্কুলে যেতে পারছে না তারা। জানা গেছে, গত ২৩ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী দিবাকরপুর পাকুরিয়া গ্রামের ছানোয়ার হোসেনের মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ক্লাস শেষে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার সময় পথিমধ্যে বৃষ্টি নামে। এ সময় আয়েশা ছাতা মাথায় দিলে একই ক্লাসের সহপাঠি তানভীর রাব্বী ক্লাসের বই দেয়ার জন্য একই ছাতার নিচে আসে ও তাকে ক্লাসের বই দেয়। এ ঘটনাটি দূর থেকে ঐ স্কুলের সহকারী শিক্ষক সামসুল ইসলাম দেখতে পান। পরদিন তারা স্কুলে গেলে তাদেরকে লাইব্রেরী রুমে ডেকে নিয়ে বেত দিয়ে বেধরক মারপিট করে। মারার পরে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ও সকল শিক্ষক তাদের ২ জনকে ছাড়পত্র (টিসি) দেয় । তবে ছাড়পত্রে আচরনবিধি সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করা হয়। জানা গেছে, আয়েশা সিদ্দিকার বাবা ছানোয়ার হোসেন ও মা সুমি বেগম মেয়ের পড়ালেখার খরচ যোগাতে ও সংসার চালানোর জন্য মেয়েকে বাসায় দাদী ও ভাইদের কাছে রেখে ঢাকায় গিয়ে গার্মেন্টস এ চাকরী করেন। এ ব্যাপারে আয়েশার দাদী মনোয়ারা বেগম জানান, আমার নাতীকে খুব মেরেছে। আমি মাথায় পানি ঢেলে তাকে সুস্থ করেছি। তারা এধরনের কাজ করে আমার পরিবারের সুনাম নষ্ট করেছে। আটাপুর ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্যা নাসিমা আকতার জানান, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের মারপিট করে আইন ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া প্রয়োজন। এ ব্যাপারে খোজ নিতে অপর শিক্ষার্থী তানভীরের বাড়ীতে গেলে প্রভাবশালীদের চাপে তারা কথা বলতে রাজী হননি। এ ধরনের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বহিষ্কার করায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।
জীবনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গেলে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান ঐ সময় স্কুলে ছিলেন না। এমনকি অভিযোগ প্রদানকারী সহকারী শিক্ষক সামসুল ইসলামকেও স্কুলে পাওয়া যায়নি। সহকারি প্রধান শিক্ষক খায়রুজ্জামান জানান, সহকারী শিক্ষক সামসুল ইসলাম স্কুলে আসার পর ছুটি নিয়ে বাইরে গেছেন। এছাড়া প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান সকালে স্কুলে আসার পর বাইরে গেছেন। ঘটনার দিন আমি স্কুলে ছিলাম না তবে শুনেছি। শিক্ষার্থীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে। তারা যদি স্কুলে আসে তাহলে তাদের ক্লাস করার সুযোগ দেয়া হবে। এ ব্যাপারে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইব্রাহীম খলিলুল্লাহর সাথে মোবাইলে কথা বললে তিনি জানান, ঘটনার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ করলে বিষয়টি তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।