পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কর্মকর্তারা অনেক রূঢ় আচরণ করেন। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সঙ্গে তারা ঔদ্ধত্বপূর্ণ আচরণ করেন। এ কথা স্বীকার করলেন সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ স্বয়ং। গতকাল বৃহস্পতিবার বিভাগীয় কার্যালয়ে কর্মরত পরিচালক, উপ-পরিচালক, সহকারি পরিচালক এবং উপ-সহকারি পরিচালকদের এক জরুরি সভায় তিনি সভাপতি হিসেবে বক্তৃতা করছিলেন।
সেগুনবাগিচাস্থ দুদক কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দুদক কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান ও দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলামসহ সকল বিভাগীয় কার্যালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। ইকবাল মাহমুদ আরো বলেন, টেলিফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অনেক কর্মকর্তার রূঢ় আচরণের তথ্য আমরা পাই। সতর্ক হোন ও ত্রæটি-বিচ্যুতি দ্রæত সংশোধন করুন। অনুসন্ধানে টাইম লাইন অনুসরণে যারা ব্যর্থ হবেন, তাদের উচিত অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে কাজ করা। তিনি বলেন, দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান বা তদন্তে কোনো প্রকার অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, পক্ষপাতিত্ব, শৈথিল্য যা কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে, কর্মকর্তাদের এমন কোন আচরণ কমিশন ন্যুনতম সহ্য করবে না। প্রতিটি কর্মকর্তা আমাদের ঠিক ততক্ষণই প্রিয় থাকবেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার দায়িত্ব সততা ও স্বচ্ছতার সাথে পালন করবেন। যারা এ দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হবেন তারা কোন প্রকার অনুকম্পা পাবেন না। দুদক চেয়ারম্যান বলেন, আমি বার বার আপনাদেরকে সতর্ক করি। তারপরও যখন অভিযোগ আসে, তখন ব্যবস্থা নেয়া ছাড়া কোনো বিকল্প পথ থাকে না। অনুসন্ধানের টাইম লাইন নিয়ে অনেকবার কথা বলেছি। এখন থেকে যারা টাইম লাইন অনুসরণে ব্যর্থ হবেন তাদের উচিত হবে অপশন দিয়ে অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কাজ করা। কারণ এ সুযোগ দুদকের বিধিতে রয়েছে। নথিতে কোয়ারি দিয়ে অনুসন্ধান বা তদন্ত বিলম্ব করায় ক্ষোভ প্রকাশ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এখন থেকে পরিচালক কিংবা মহাপরিচালক পর্যায়ে কোয়ারি দিয়ে নথি নিচে নামিয়ে দেয়া যাবে না। কমিশনের অনুমোদন ছাড়া কোন কোয়ারি দেয়া যাবে না। আমরা এই প্রতিষ্ঠানটিকে মানুষের আস্থার প্রতীক বানাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। কারো স্বেচ্ছাচারিতার কাছে এই প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে দেয়া হবে না। কমিশনার ড. মোঃ মোজাম্মেল হক খান বলেন, কমিশনের আইনি ম্যান্ডেট বাস্তবায়ন করা হবে। দুর্বীনিত আচরণ কাম্য নয়। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকলে ক্ষমতার দম্ভ থাকে না।
দুদক কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম বলেন, যেসব নথি আমি পর্যালোচনা করেছি, তাতে যেসব ত্রæটি পেয়েছি, তা কাঙ্খিত নয়। আপনারা দায়িত্বশীল কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করলে এসব ত্রæটি-বিচ্যুতি দূর করা যেতো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।