Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

রোহিঙ্গারা সাড়া না দেয়ায় প্রত্যাবাসন হয়নি

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

অবশেষে তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা সাড়া না দেয়ায় স্থগিত হয়ে গেছে বহুল প্রতিক্ষিত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। এ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণে চীন ও মিয়ানমারের কর্মকর্তাসহ দেশি ও আন্তর্জাতিক সংস্থার কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার সকাল থেকে টেকনাফের কেরুনতলী ও ঘুমধুমের ট্রানজিট পয়েন্টে অপেক্ষায় থাকলেও তালিকাভূক্ত রোহিঙ্গারা প্রত্যাবাসনের জন্য উপস্থিত হয়নি। ওপারে মিয়ানমারের একটি উচ্চপর্যায়ের দল অবস্থান করছিলেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম।

এদিকে প্রত্যাবাসনের জন্য রোহিঙ্গারা না আসায় চীন ও মিয়ানমার কর্মকর্তাসহ প্রত্যাবাসন কর্মকর্তারা দুপুরে গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে ব্রিফিংকালে বলেন, তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গারা না আসায় প্রত্যাবাসন শুরু করা যায়নি। দুপুর সাড়ে ১২ টায় শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম গণমাধ্যম কর্মিদের সাথে ব্রিফিং-এ ২য় দফার প্রত্যাবাসন কার্যক্রম স্থগিতের কথা জানান। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরতে সাড়া না দেয়ায় প্রত্যাবাসন কর্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করা হল।

আবারও হামলার আশঙ্কায় রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরতে অস্বীকৃতি জানানোয় ব্যর্থ হয় প্রত্যাবাসন উদ্যোগ।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের সার্বিক পরিস্থিতি জানার জন্য বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা দূতাবাসের দু’জন ও মিয়ানমারের একজন কর্মকর্তা কক্সবাজারে এসেছেন এবং তারা ট্রানজিট পয়েন্টেও ছিলেন। এ ছাড়া মিয়ানমার সীমান্তের ওপারে সে দেশের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অবস্থান করবেন বলে শুনেছি। সব মিলিয়ে বৃহস্পতিবার প্রত্যাবাসনের জন্য সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেয়া হয়। আবুল কালাম আরও বলেন, মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকার করে নিয়েছে। আমরা এ তথ্যটি রোহিঙ্গাদের জানিয়েছি। এছাড়া মিয়ানমার সরকারের দেয়া ছাড়পত্র অনুযায়ী ১ হাজার ৩৭টি পরিবারের মোট ৩ হাজার ৫৪০ জনকে ফেরত নেয়ার প্রথম তালিকা দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে গত দু’দিনে ২৩৫টি রোহিঙ্গা পরিবারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে।

এদিকে সাক্ষাতকারের সময় রোহিঙ্গারা বলেছেন যে, তাদের নাগরিকত্ব, স্বাধীনতা, ভিটেবাড়ি ফেরত ও নির্যাতনের বিচার না হলে তারা স্বদেশে ফিরে যাবে না।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গা

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ