বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গরুর টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে কক্সবাজার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী তামজিদ পাশাকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। এতে মারাত্মক জখম ও গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ নেতাসহ আরো তিনজনকেও আঘাত করেছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণ করে নিয়ে গেছে একজনকে।
বৃহস্পতিবার বিকাল খুরুশ্কুল তেতৈয়া এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে। তেতৈয়া এলাকার বাদশা মিয়ার পুত্র সন্ত্রাসী শেখ কামালের নেতৃত্বে আকতারুজ্জামান পুতু, লুৎফুর রহমান লুতু ও আজিজুল হকসহ ১০/১২ জনের একদল সন্ত্রাসী এই হামলা চালায়।
হামলার শিকার ছাত্রলীগ সভাপতি কাজী তামজিদ পাশা খুরুশ্কুল তেতৈয়া এলাকার শফিউল হকের পুত্র। অন্য আহতরা হলেন- একই এলাকার আবুল কালামের পুত্র মোহাব্বত (২৮), ছাত্রলীগ নেতা বাপ্পী (২৭) ও আবুল কাশেম জয় (২৮)। তাদের সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে।
হামলার শিকার সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী তামজিদ পাশার বড়ভাই দিদারুল হক জানান, বেড়িবাঁধের পাশের পৈত্রিক জমির চাষ দেখভাল শেষে আসার পথে সন্ত্রাসীরা তামজিদ পাশা ও তার সাথে থাকা যুবকদের উপর হামলে পড়ে।
এসময় হামলাকারীরা তামজিদ পাশাকে মাথায় ও শরীরে উপর্যুপরি কোপায়। অন্য যুবকদের হাতুড়ি ও অন্যান্য অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে। কুপে মারাত্মক আহত তামজিদকে নিয়ে তার সঙ্গীরা ভারুখালীতে পালিয়ে যায়। এতে প্রাণে রক্ষা পান তারা।
পরে খবর পেয়ে কক্সবাজার সদর থানার পুলিশ গিয়ে ভারুয়াখালী থেকে তাদের উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। তামজিদ পাশার অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
অন্যদিকে ভারুখালীর বরকত উলল্লাহ নাসে এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসীরা। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শোনা যাচ্ছে- তাকে অস্ত্র দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়ার চেষ্টা করছে সন্ত্রাসীরা।
তামজিদ পাশার ভাই দিদারুল হক আরো জানান, গত ৯ আগস্ট সেফায়েজুল করিম নামের এক যুবকের গরু বিক্রির ৩৫ হাজার টাকা ছিনতাই করে শেখ কামাল, আকতারুজ্জামান পুতু, লুৎফুর রহমান লুতু ও আজিজুল হক।
ওই টাকা উদ্ধারে বিচার চাওয়ায় ১১ আগস্ট ওই যুবককে অপহরণ করে নৃশংসভাবে কোপায় ওই সন্ত্রাসীরা। সেফায়েজুল করিমের টাকা ছিনতাইকৃত টাকা উদ্ধার ও তার উপর হামলায় মামলা দায়েরসহ অন্যান্য কাজে সহযোগিতা করেছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী তামজিদ পাশা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই সন্ত্রাসীরা এই নৃশংস হামলা চালিয়েছে।
এ ব্যাপারে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ উদ্দীন খন্দকার জানান, হামলার খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। পুলিশ আহতদের উদ্ধার করে হামলাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।