রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কলাপাড়ায় দীর্ঘ দশ বছর পর আবার চালু হয়েছে নৌ পথে কলাপাড়া থেকে ঢাকা যাওয়ার লঞ্চ সার্ভিস এমভি রয়েল ক্রুজ। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের মাঝে স্বতি ফিরে এসেছে। ঈদুল-আযহার ছুটির পরও বালিতলী লঞ্চঘাটে রাজধানীমূখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় পল্টন যেনো তিল ধরনের ঠাঁই নেই। লঞ্চ ছাড়ার আগেই লঞ্চের ছাদ, ডেক থেকে শুরু করে প্রথম শ্রেডুর কেবিনের বারান্দার জায়গাও খালি থাকে না। আবহাওয়া অনুকুলে থাকার কারনে এখন প্রতিনিয়তই যাত্রীদের চাপ ক্রমশই বেড়ে চলছে। দীর্ঘদিন পর দক্ষিনাঞ্চলের এই রুটে লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় পর্যটকরা বেজায় খুশি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ছোট একটি টার্মিনাল লঞ্চ ভীড়তে অনেক সময় ও সমস্যা হয়। টার্মিনালটি অনেক অঙ্ক ভেঙ্গে গেছে। যাত্রীদের লঞ্চে ওঠা নামার পুল পানিতে তলিয়ে থাকার কারনে লঞ্চে উঠতে জামা-কাপড় ভিজে যায়। পাশাপাশি কাউন্টারে কেবিন না পেয়ে চড়া দামে স্টাফ কেবিন পওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছে যাত্রীরা।
নুরুজ্জমান খালাসী জানান, আগের কদিনের চেয়ে যাত্রীদের চাপ বেড়েছে। আমরা লঞ্চে ওভারলোড হতে দিচ্ছি না। নির্ধারিত সময় লঞ্চ ছেড়ে দিচ্ছি।
পায়রা বন্দর এস.আই সঞ্জয় মন্ডল জানান, যাত্রীদের চাপ বাড়ার সাথে সাথে লঞ্চ ঘাটের ভিতরে-বাহিরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। যাতে যাত্রীদের যাতায়াতে কোন প্রকার হয়রনীর শিকার না হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা এ্যাডভোকেট শামীম আল সাইফুল সোহাগ বলেন, ঢাকা থেকে লঞ্চে বাড়িতে খুব ভালোই লেগেছে, তবে টার্মিনালটির বেহাল দশায় যাত্রীদের অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়, তাই তিনি এখানে বড় একটি উন্নতমানের টার্মিনাল স্থাপনের দাবী জানান।
পর্যটক মাহবুবুল আলম ফিরোজ বলেন, ঢাকা থেকে লঞ্চে কুয়াকাটা যাওয়া যায় শুনেই লঞ্চে কলাপাড়ায় এসে বিকল্প সড়কে কুয়াকাটা পৌছলাম, নতুন এই লঞ্চ ভ্রমনটি ভালোই লাগলো।
ঢাকা থেকে আসা মো.আল-আমিন রবিন বলেন, আগে ঢাকা থেকে কলাপাড়া আসতে অনেক কষ্ট,ঝামেলা পোহাতে হতো, এখন আমাদের বাড়ির পাশে লঞ্চঘাটে এসে নামি কোন সমস্যা ছাড়াই। আমাদের একটাই দাবী ভবিষ্যতে এই লঞ্চ সার্ভিস যেন বন্ধ না হয়।
বালিয়াতলীর রহিমা বেগম বলেন, আগে ঢাকা থেকে লঞ্চযোগে পটুয়াখালী লঞ্চঘাটে নামতে হতো। তারপর বাসে চড়ে কলাপাড়া এসে অটোতে চড়ে বালিয়াতলী বাড়িতে আসতে হতো। এতে সময় বেশি লাগতো এবং হয়রানিরও শেষ ছিল না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।