Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বনগ্রাম স্কুলের ঝুঁকিপূর্ণ ছাদের উপর চলছে দ্বিতলভবন নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ২৩ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার বনগ্রাম কিষাণ মজদুর সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২৫ বছরের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ একতলা জরাজীর্ণ ভবনের ছাদেই চলছে ভবনের নির্মাণ কাজ। ২৫ বছর আগে নির্মিত এ ভবন যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে। তার উপর বিল্ডিং কোড বা ভবন নির্মাণের নিয়ম-কাননের তোয়াক্কা না করে এ ছাদেই উপরতলা ভবন নির্মানের কাজ চলছে যা চরম ঝুঁকিপূর্ণ বলে মন্তব্য করছেন এলাকাবাসী।

ঝুঁকিপুর্ণ এ ভবন যেকোনো সময় ধসে বড ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ও তারা মনে করছেন। যে ভবনের সাথে কমলমতি ছেলে মেয়েদের জীবন জড়িয়ে আছে। সেখানে প্রকৌশল বিভাগ কি করে এ কাজ করার অনুমতি দিল, আর স্থানীয় প্রশাসন কি কিছুই দেখেননা এ প্রশ্ন এলাকাবাসীর। ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে স্থানীয় প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছেন এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানান, বিদ্যালয়টি প্রায় ২৫ বছরের পুরাতন হওয়ায় নিচতলার ছাদে ও দেয়ালে পলেস্তেরা খসে পড়ছে। যে কোন সময় ভেঙে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রশাসন কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সাধারণ জনগণ ভবন নির্মাণ কাজে বাঁধা দিলে প্রথমাবস্থায় কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। পরবর্তীতে কাজ আবার শুরু করা হয়। মহম্মদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হলে সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবশ্য এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, মাগুরা এর প্রকৌশলী সোহেল হোসেন বলেন,কোন সমস্যা নেই আমরা ছাঁদের টেম্পার চেক করেছি। উক্ত বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পলাশবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হলে সেটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবশ্য এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর, মাগুরা এর প্রকৌশলী সোহেল হোসেন বলেন,কোন সমস্যা নেই আমরা ছাঁদের টেম্পার চেক করা হয়েছে। তাতে কােন অসুবিধা হবেনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বনগ্রাম স্কুলের ঝুঁকিপূর্ণ
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ