Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

‘চেয়ারম্যানরা তো সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন অফিস করতে পারেন’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ আগস্ট, ২০১৯, ৫:০০ পিএম

ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা তো সপ্তাহে অন্তত তিনদিন নিয়মিত অফিস করতে পারেন বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

তিনি বলে এটা হলে সাধারণ মানুষ ইউনিয়ন থেকে সেবা নিতে হয়রানিতে পড়বে না।


বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মতিঝিলের সিটি সেন্টারে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি-৩) কার্যক্রম বাস্তবায়ন বিষয়ক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, জনপ্রতিনিধি হওয়ায় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বা মেম্বারদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। এটা ঠিক নয়, মানুষকে ঠিক রাখতে হলে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। আপনারা চেয়ারম্যানদের কীভাবে জবাবদিহিতার আওতায় আনবেন সেটা ডেভেলপ করেন।

একজন চেয়ারম্যান তো অন্তত সপ্তাহে তিনদিন অফিসে যেতে পারেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটা সময় বেঁধে দেয়া যায় যে, এই দিন এতটা থেকে এতটা পর্যন্ত আমি অফিসে থাকবো- এভাবে একটা তথ্য বোর্ড দিয়ে দেন। তাহলে একটা সার্টিফিকেট বা অন্য কোনো সেবার জন্য সাধারণ মানুষকে ভুগতে হবে না। তা না হলে মানুষ ইউনয়ন পরিষদের অফিসে যাবে, তখন চেয়ারম্যান চায়ের দোকানে আড্ডা দেবেন। মানুষ তার কজটা করিয়ে নিতে পারবে না।’

তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যানদের কাজটা কী সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। চেয়ারম্যানদের যেসব দায়িত্ব সেগুলো তাদের বুঝিয়ে দিতে হবে যে, এ এ কাজ আপনার।’

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদগুলোকে যদি সক্ষম করা না যায় তাহলে আমাদের উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন উন্নত বাংলাদেশ গঠন করা হবে। উন্নত দেশ গঠন করতে হলে সব মানুষকে উন্নয়নের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। এ জন্য ইউনিয়ন পরিষদ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান।’

গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের উদ্দেশ্য মন্ত্রী বলেন, আপনারা একটা স্ট্যাডি করেন যে, কী করলে ইউনিয়নের সব মানুষকে একত্রে আনা যায়। ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিটি মানুষের তথ্য থাকতে হবে। কত জন চাকরি করে, কতজন স্কুলে যায়, কতজন শিক্ষিত, কতজন বেকার, কতজন বখাটে এসব তথ্য থাকতে হবে।

তিনি বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের প্রত্যেক মেম্বার বা সদস্যের জন্য একটা করে অফিস থাকতে পারে। বাংলাদেশ তো এখন আর ফকির-মিসকিনের দেশ নয়। বর্তমানে জনগণের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ডলার। এ পর্যায়ে মেম্বারদের অফিস থাকাটা আর্থিক অসঙ্গতির কারণ হতে পারে না। ইউনিয়নে কি ধরনের সম্পদ রয়েছে এর একটা স্টাডি করলেই এ ইনকাম বাড়ানো যাবে। খাতগুলো চিহ্নিত করে টাকা সংগ্রহ করতে পারলেই আয় অনেক বেড়ে যোবে।’

তবে এসব কাজ সনাতনভাবে করলে হবে না। নতুন আইডিয়া নিয়ে সামনে এগুতে হবে। দেশ পরিবর্তনে সব ক্ষেত্রে নতুন নতুন আইডিয়া তৈরি করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ