পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক)-এর উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেছেন, আমরা সর্ষের ভেতরে ভূত দেখতে চাই না। সর্ষের ভেতরে সর্ষেই থাকা উচিত। বিনাদোষে ৩৩ মামলায় কারাভোগকারী জাহালমের বিরুদ্ধে তদন্ত বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর গতকাল বুধবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
দাখিলকৃত প্রতিবেদনের ওপর অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত বলেন, এটি কি ধরনের প্রতিবেদন? আপনারা জাহালমের ঘটনায় ১১ জন তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করবেন বলে দাবি করেছেন। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী এবং কেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তার কোনো তথ্যই দেননি। এটি কি ধরনের প্রতিবেদন?
এর আগে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। তবে বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহসান এবং বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের ডিভিশন বেঞ্চ এ প্রতিবেদন গ্রহণ করেননি। প্রতিবেদনে দুদক কৌঁসুলি খুরশিদ আলম খান জাহালম-কান্ডে জড়িত কর্র্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সংস্থার গৃহীত পদক্ষেপ তুলে ধরেন।
তিনি জানান, ইতোমধ্যেই জাহালম যে ৩৩টি মামলায় অকারণ কারাভোগ করেছেন সেই মামলার ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দুদক। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও হচ্ছে। তবে আদালত এ বক্তব্যে সন্তুষ্ট না হয়ে কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে করা মামলার বিস্তারিত বিবরণ, নাম এবং তদন্ত কর্মকর্তাদের নাম চেয়ে আদেশ দেন। প্রতিবেদন দাখিলের পর দুদকের উদ্দেশে আদালত আরো বলেন, দুদক একটি স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। ভালো কাজ করলে আপনাদের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে। এ সময় দুদকের আইনজীবী খুরশিদ আলম খান আদালতকে বলেন, শুধু দুদকের নয়, পুরো দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল হবে।
আদালত তখন বলেন, আপনারা সেটাই বলেন, জাহালমের ঘটনায় জড়িত আমরা তদন্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা দুদকের কাজ নিয়ে কোনো প্রশ্ন তুলছি না। শুধু এ জাহালমের ঘটনার বিষয়ে এখানে যে শুনানি চলছে তা নিয়ে বলছি। আপনাদের প্রতিবেদন যথাযথ হয়নি। এটা আমরা একেবারেই গ্রহণ করতে পারছি না। এটি ভাসা ভাসা রিপোর্ট, যা গ্রহণযোগ্য নয়।
আপনারা প্রতিবেদনে বলেছেন, ১১ জন দুদক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। কিন্তু ১১ জন কর্মকর্তা কারা? তাদের নাম নেই কেন? কোন কর্মকর্তার কী দোষ, সুনির্দিষ্টভাবে তা উল্লেখ নেই কেন? আমরা এ রিপোর্ট গ্রহণ করলাম না। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তৈরি করে আগামী ২৮ আগস্ট দাখিল করুন। এ সময় দুদক আইনজীবী ১১ তদন্ত কর্মকর্তার বিষয়ে একটা আদেশ দেয়ার অনুরোধ জানান আদালতের কাছে।
আদালত তখন আইনজীবীর উদ্দেশে বলেন, এখন অর্ডার দিলে তো আমরা বলব আপনারা আদালতের আদেশ মানেননি। ‘কন্টেমড অব কোর্ট’ স্ট্যান্ডিং অর্ডার তো রয়ে গেছে। আবার আদেশ দেবো কেন? পরে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নাম ও অভিযোগের তথ্যসহ পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২৮ আগস্ট ধার্য করেন। গতকাল আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান, ব্র্যাক ব্যাংকের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদ্দুজ্জামান এবং সরকারপক্ষে ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দুদকের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জালাল সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, জাহালমকে ভুল আসামি করা ৩৩ মামলাই পুনরায় তদন্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।