পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার বিচারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তিনি। গতকাল সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নুরুল হক নুর এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি এবং আমার সংগঠনের নেতাকর্মীদের মুখ বন্ধ রাখতে আমাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। অন্যায়-অনিয়মের বিরুদ্ধে সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রয়োজনে আমাদের যে কথা বলা সেটি চলমান থাকবে। অন্যায়ভাবে কাউকে হয়রানি করে তার মুখ বন্ধ রাখা যায় না, যা জাতির পিতাই বলে গেছেন বাঙালি জাতিকে তোমরা দাবায়া রাখতে পারবা না।’
হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে নুর বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নিকট অনুরোধ, ভিন্নমতের মানুষের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখতে আপনার দলের নেতা-কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেন। দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দলীয় প্রভাবমুক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কার্যকর করুন। ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ এর নেতাকর্মীদের অযথা হয়রানি বন্ধ করুন এবং যারা হামলার সাথে জড়িত তাদেরকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার নির্দেশ দিন।
হামলার বিচারে আইনী প্রক্রিয়ার দ্বারস্ত হয়েছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ডাকসু ভিপি বলেন, ‘ঐ দিন হামলা হতে পারে এমন আশঙ্কায় গলাচিপা পুলিশের সহযোগিতা চাইলেও ওসি কোনো ধরণের সহযোগিতা করেনি। এমনকি পুলিশের উপস্থিতিতেও সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায় এবং পুলিশ ও আমার আত্মীয়, সমর্থকদের গ্রেফতারের হুমকিও দেয়। সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে নগ্ন হামলা চালালেও ওসি হামলার কথা অস্বীকার করে। আমরা ঐ থানায় ঐ পুলিশের কাছে মামলা করে কোনো বিচার পাবো? পাবো না। দেশে এখন ন্যায়বিচারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করতে হয়। শুধুমাত্র ন্যায়বিচার আমরা তখনই পাবো, যখনই প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিবেন। তাই আমরা তাঁর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
নুরুল হক নুর বলেন, ‘গত ১৪ আগস্ট চর বিশ্বাস থেকে আমার বোনের বাড়ি দশমিনা যাওয়ার পথে উলানিয়া বাজারে পটুয়াখালী-৩ এর সাংস এস.এম শাহজাদা সাজুর নির্দেশে চাঁদাবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী, গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহ এর নেতৃত্বে তার ভাই নুরে আলম, লিটু পেদা, আব্বাস পেদা, পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাইনুল ইসলাম রণো, পৌর শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উলানিয়া যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাকিল, যুবলীগ নেতা ইদ্রিস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ফরিদ আহসান কচিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ আসিফ, ছাত্রলীগ নেতা জাহিদ, তূর্য্যসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আমাকে হত্যার উদ্দেশে রড, স্টীলের পাইপ ও চাপাতি নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় প্রায় ২০-২৫ জনকে আহত, ১০টি মটরসাইকেল ভাঙচুর, ২টি ডিসএলআর ও ৮৯ হাজার টাকা ছিনতাই হয়। আহতদের মধ্যে আমি নিজে, রবিউল, ইব্রাহিম, জাহিদ, রিয়াজসহ ৫ জন গুরুতর আহত হই।’
তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা শুধু হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি আমাকে চিকিৎসার মতো মৌলিক অধিকার থেকেও বঞ্চিত করেছে। ডাক্তার সিটি স্ক্যান ও ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা করার জন্য বরিশাল মেডিক্যালে রেফার করলেও সন্ত্রাসীরা এবং পুলিশ আমাকে জোর করে বাসায় পাঠিয়ে দেয় এবং এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করার জন্য আমাকেও আমার পরিবারকে নিয়মিত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।’ ক্ষমতাসীন দলের নেতা ছাড়াও সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের কাছ থেকেও প্রতিনিয়ত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি।
অন্যায়ের-অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ছাত্রসমাজ ও দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার হোন। আমি কোনো অন্যায় করিনি। শুধুমাত্র অনিয়মের প্রতিবাদ করার কারণেই আমি ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ-এর নেতাকর্মীরা বার বার ক্ষমতাসীন দলের রোষানলের স্বীকার হয়েছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।