পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক জানিয়েছেন, দিনক্ষণ ঠিক হয়নি; তবে যে কোনো দিন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে (মিয়ানমার) পাঠানো শুরু হতে পারে।
তিনি বলেন, এটা চলমান প্রক্রিয়া, সরকারের পক্ষ থেকে কাজ চলমান আছে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর অগ্রগতি হবে। গতকাল রোববার রাজধানীর বিস মিলনায়তনে গ্রিন অ্যান্ড রেড রিসার্চ আয়োজিত ‘রোহিঙ্গা সঙ্কট : উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ তথ্য জানান। পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেন, আমরা মনে করি রোহিঙ্গারা সম্মানের সঙ্গে নিজ দেশে ফিরে যাবে। এ জন্য সরকারিভাবে আলোচনা অব্যাহত আছে, আশা করা যায় আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এর অগ্রগতি আসবে। এর আগে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম (রয়টার)-এ প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২২ আগস্ট থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হবে। এই খবর সম্পর্কে সচিব বলেন, বিশ্ব কমিউনিটির সঙ্গে আমাদের আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। আশা করছি, যে কোনো দিন থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু হবে।
মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, আমরা রোহিঙ্গাদের রিফিউজি হিসেবে আশ্রয় দেইনি, মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়া হয়েছে। আমাদের দেশ জনবহুল হওয়ায় এত বিপুল সংখ্যক মানুষকে স্থানীয়ভাবে পুনর্বাসন সম্ভব না। আমরা মনে করেছিলাম প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রগুলো (ভারত) এ সঙ্কটে এগিয়ে আসবে, কিন্তু তা হয়নি। একটি দেশে গণহত্যা হচ্ছে অথচ বিশ্ব নীরব, তাদের নিজ দেশে ফেরানোর কোনো উদ্যোগ নেই। কোথায় বিশ্ব, কোথায় বিশ্ব আইন-মানবাধিকার? ২০১৪ সালে তার মিয়ানমার সফরের উদাহরণ টেনে ড. মিজানুর রহমান বলেন, আমি রোহিঙ্গা বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা এ বিষয়ে আলোচনা করতে রাজি হয়নি।
বিসের গভর্নিং বডির সাবেক চেয়ারম্যান মুন্সি ফয়েজ আহমেদ বলেন, রোহিঙ্গা সঙ্কট তৈরি করেছে মিয়ানমার। তাদের এর সমাধান দিতে হবে। আমরা আশা করছি, অন্তত ছোট আকারে হলেও রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরাটা শুরু হোক; পরে না হলে ডিমান্ড নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে তাদের নিজ দেশে ফেরাটা যেন সম্মানের হয়, নিরাপত্তার হয় সেটাও দেখতে হবে। চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুনশি ফায়েজ আহমেদ বলেন, এই গোটা ঘটনায় মিয়ানমারের কয়েকজন জেনারেল, কয়েকজন বৌদ্ধ নেতা ও কয়েকজন রাজনৈতিক নেতা সুবিধা নিচ্ছে এবং গোটা মিয়ানমারকে বিপদে ফেলছে।
গ্রিন অ্যান্ড রেড রিসার্চের পরিচালক শহিদুল ইসলাম চৌধুরীর পরিচালনায় আয়োজিত সেমিনারে বিভিন্ন এনজিও এবং দূতাবাসের প্রতিনিধিরা অংশ অংশগ্রহণ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।