Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্ধ এশিয়ান পেপার মিল

হালদা দূষণ

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বর্জ্য ছেড়ে দিয়ে দেশে মিঠা পানির মাছের একমাত্র প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী দূষণের দায়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীর এশিয়ান পেপার মিলসের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। গতকাল রোববার হালদা নদী দূষণের অভিযোগের ওপর শুনানি শেষে পরিবেশ অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের পরিচালক আজাদুর রহমান মল্লিক এ আদেশ দিয়েছেন।

সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) চালু না হওয়া পর্যন্ত এ কারখানা বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। অধিদফতরের কার্যালয়ে কারখানার প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে শুনানি হয়। এর আগে গত ১১ জুন একই অপরাধে এশিয়ান পেপার মিলসকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করেছিল পরিবেশ অধিদফতর। এছাড়া বর্জ্য তেল নিঃসরণ করে হালদা দূষণের অভিযোগে ‘হাটহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের’ উৎপাদনও বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছিল পরিবেশ অধিদফতর।

অধিদফতরের চট্টগ্রাম মহানগরের সহকারী পরিচালক সংযুক্তা দাশগুপ্তা বলেন, ঈদুল আজহার ছুটির সময় এশিয়ান পেপার মিলস থেকে বর্জ্য হালদা নদীতে ফেলা হয়। এমন অভিযোগ পাওয়ার পর গত ১৪ আগস্ট আমরা পরিদর্শন করে এর সত্যতা পাই। এর আগেও আমরা তাদের অনেকবার সতর্ক করেছি, জরিমানাও করা হয়েছিল। কিন্তু তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। এজন্য তাদের শুনানিতে হাজির থাকার নোটিশ দেয়া হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, ১৪ আগস্ট পরিদর্শনে গিয়ে আমরা প্রতিষ্ঠানটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই নাজুক দেখতে পেয়েছি। কারখানার বর্জ্য বৃষ্টির পানির তোড়ে পাশের খাল হয়ে হালদা নদীতে পড়ছে। পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ অনুযায়ী জরুরি ভিত্তিতে সঠিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও ইটিপি চালু করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এই পদক্ষেপ না নেয়া পর্যন্ত কারখানার উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। শুনানিতে চিটাগাং এশিয়ান পেপার মিলস (প্রা.) লিমিটেডের পক্ষে অংশ নেন চিফ কেমিস্ট মোরশেদ আলম চৌধুরী, জেনারেল ম্যানেজার রঘুনাথ চৌধুরী এবং প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) মো. শফিউল আলম।

চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার নন্দীরহাটে বিজিএমইএ’র প্রথম সহ-সভাপতি এম এ সালামের মালিকানাধীন এশিয়ান গ্রুপের কারখানাটির অবস্থান। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমীন গত ১১ আগস্ট কারখানার বিভিন্ন পয়েন্ট সরেজমিনে পরিদর্শন করে হালদায় বর্জ্য ফেলার বিষয়টি দেখে পরিবেশ অধিদফতরে অভিযোগ করেছিলেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দূষণ

১৬ জানুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ