মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৬৩ জন মারা গেছেন। এ ঘটনায় আরো প্রায় ১৮২ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত শনিবার রাতে ভয়াবহ এ বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসরাত রাহিমি জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে অনেক নারী ও শিশু রয়েছেন। পশ্চিম কাবুলের একটি কমিউনিটি হলে সংগঠিত এই হামলার দায় স্বীকার করেনি জঙ্গিগোষ্ঠী তালেবান। সংগঠনটির দুজন মুখপাত্র পৃথক বিবৃতি দিয়ে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছেন।
তবে কথিত ইসলামিক স্টেট গ্রুপ ও তালেবানসহ সুন্নি মুসলিম জঙ্গিরা বিভিন্ন সময়ে আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে অতীতে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছিল। আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবিতে দেখা যাচ্ছে বিয়ের অনুষ্ঠান স্থলে লাশগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। আফগানিস্তানে বিয়েতে অনেক অতিথি থাকে ও তারা একটি বড় হলঘরে সমবেত হয় যেখানে পুরুষদের থেকে নারী ও শিশুরা আলাদা অবস্থানে থাকে।
বিয়েতে আসা একজন অতিথি মোহাম্মদ ফারহাদ বলছেন, পুরুষরা যেখানে অবস্থান করছিলেন সেখানে যখন প্রচন্ড বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায় তখন তিনি ছিলেন নারী ও শিশুদের অবস্থানের কাছে। ‘সবাই চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে বাইরে দৌড়ে বেরিয়ে যায়,’ তিনি বলছিলেন বার্তা সংস্থা এএফপিকে।
‘প্রায় বিশ মিনিট ধরে পুরো হলরুমটি ছিলো ধোঁয়ায় ভর্তি। পুরুষদের প্রায় সবাই হয় নিহত কিংবা আহত। ঘটনার দু’ঘণ্টা পরেও সেখান থেকে লাশ নেয়া হচ্ছে’।
বিয়ের অনুষ্ঠানে কাজ করা একজন ওয়েটার সৈয়দ আগা শাহ। তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে সবাই দৌড় শুরু করে। ‘আমাদের বেশ কয়েকজন ওয়েটার হতাহত হয়েছে’।
তালেবানদের একজন মুখপাত্র এক হামলার ‘তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। মিডিয়ায় পাঠানো এক বার্তায় জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেন, ‘নারী ও শিশুদের টার্গেট করে এ ধরনের নিষ্ঠুর হত্যাকান্ডের কোনো যৌক্তিকতা নেই।
এর আগে কী হয়েছিল?
সর্বশেষ এ হামলার মাত্র দশদিন আগে কাবুল পুলিশ স্টেশনের কাছে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছিল। সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিলো তালিবান। শুক্রবার তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার একজন ভাই পাকিস্তানের কোয়েটার কাছে একটি মসজিদে পেতে রাখা বোমায় নিহত হন। সেই হামলার দায় অবশ্য কেউ স্বীকার করেনি। দেশটিতে এখন চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, যদিও তালেবান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির খুব কাছে বলে বলা হচ্ছে। কাতারের দোহায় দু’পক্ষের প্রতিনিধিরা শান্তি আলোচনায় অংশ নিচ্ছে।
আফগান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আরো বলা হয়েছে, মার্কিন সেনা প্রত্যাহার চুক্তির বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে এগিয়ে আসলেও এ ধরনের একের পর হামলার ঘটনা সেই পথটিকে আরও কঠিন করে তুলবে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।