বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনায় ডেঙ্গু রোগ কমেও কমছে না। পাবনা জেনারেল হাসপাতালে বলতে গেলে এক অসহনীয় অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। অসহায় রোগীরা ডেঙ্গু রোগ নিয়ে প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছেন। অবস্থা অনেকাটা এই রকম যে, হাসপাতালে তিলধারণের জায়গা নেই। ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালে বেডে কোন জায়গা নেই। কোন বেড খালি না থাকায় হাসপাতালের বারন্দায় অতিরিক্ত বেড দিয়ে, আবার অনেকে মেঝেতেই পাটি- মাদুর বিছিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আসলে করার কিছু নেই । ডেঙ্গু রোগী ছাড়াও অন্যান্য রোগ-বালাই নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অনেকেই । হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, সহযোগি কর্মচারীরা ডেঙ্গু রোগীরদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। মেডিসিন ওয়ার্ড ছাড়াও অন্যান্য ওয়ার্ড থেকে কর্মচারীদের এনে নিয়োজিত করা হচ্ছে ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসায়। অপরদিকে, একজন ডেঙ্গু রোগীর সাথে গড়ে ৩ জন করে আত্মীয়-স্বজন এ্যাটেডেন্ট হিসেবে আসছেন। অন্য রোগীদের ক্ষেত্রও একই অবস্থা বিরাজ করছে। লোকের চাপে চিকিৎসকদের রাউন্ড দিতে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। কিন্তু কোন উপায় নেই।
পাবনার সিভিল সার্জন ডা: মেহেদী ইকবাল আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় এই স্টাফ রিপোর্টারকে জানান, গত ২৪ ঘন্টায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে ৫৬ জনের চিকিৎসা চলছে। অপরদিকে, পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে
২ জন, ফরিদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ২ জন , বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ২ জন
এবং চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে ১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। সিভিল সার্জনের তথ্য মতে ৩ উপজেলা হাসপাতালে ৬ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
উপজেলা পর্যায়েও ডেঙ্গু রোগ দেখা দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে ভয়-ডর কাজ করছে। সিভিল সার্জন আতঙ্কিত না হয়ে রোগের চিকিৎসা এবং সচেতন থাকতে বলছেন। পাবনা পৌর সভার মেয়র কামরুল হাসান মিন্টু আজ রবিবার বিকাল ৪টায় জানান, ‘পাবনা পৌর সভা মশা নিধনে কাজ করছে, লোকাল ভাবে ডাসবান নামে ওষুধ সংগ্রহ করে। তিনি অবশ্য স্বীকার করেন, মশক নিধন এই কার্যক্রম ব্যাপক আকারে করা সম্ভব হচ্ছে না, সীমিত সাধ্যের মধ্যে বাজার থেকে ডাসবিন কিনে এই কাজ চলছে। সরকারিভাবে দেশের সব পৌরসভাকে ওষুধ ক্রয় করার অর্থ বরাদ্দ বা সরবরাহের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তখন পাবনার সব পৌরসভা ওষুধ পাবে। এর আগে আমাদেরকে সীমিত আকারেই কাজ করতে হচ্ছে, এটা আশানুরূপ বলা যায় না। তবে নাগরিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার- প্রচারণা চালানো হচ্ছে । আমারা পৌর নাগরিকদের আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন হতে বলছি।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।