রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে ইন্দুহাটি হলধর উচ্চ বিদ্যালয়ের দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলামকে অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গত বুধবার দুপুরে স্কুল ক্যাম্পাসে অভিভাবক ও এলাকাবাসী হাতে হাত ধরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বাঙ্গালী ভিসি ড. রমেশ চন্দ্র মজুমদার ১৯৪৫ সালে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলার নিজ গ্রাম ইন্দুহাটিতে তার পিতার নামে হলধর উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক এসএসসি পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিনা রসিদে প্রবেশপত্র, ট্রান্সক্রিপ, সার্টিফিকেট, ফরম পূরণ বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায় করে আত্মসাৎ করেছেন। শিক্ষার্থী বেতন, বিদ্যুৎ বিল, সেশন চার্জ, কন্টিডেন্সি, পরীক্ষার ফি, স্কুলের জমি থেকে বালু উত্তোলন, পুকুর ইজারা ও আভ্যন্তরীণ খাত থেকে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া স্কুলের গাছ, ভবন বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ কারণে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি তাকে চাকরি থেকে সময়িক বরখাস্ত করেছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই প্রধান শিক্ষক স্কুল ম্যানেজিং কমিটির বিরুদ্ধে ঢাকা বোর্ডে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ অভিযোগের তদন্ত করতে আসলে অভিভাবক ও এলাকাবাসী তদন্তকারী কর্মকর্তার সামনে দুর্নীতিবাদ প্রধান শিক্ষকের আপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ ইমামুল হক বলেন, প্রধান শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম দুর্নীতি করে স্কুলটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তার আর্থিক দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত ইন্দুহাটি হলধর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কাজী নজরুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিই স্কুলকে নিজের সম্পত্তি মনে করে ব্যাপক দুর্নীতি করে টাকা লুটে নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে প্রতিবাদ করলে সভাপতি আমাকে সময়িক বরখান্ত করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।