Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাতিয়ায় সংঘর্ষে আহত ৪০

প্রকাশের সময় : ১০ জুন, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অভ্যন্তরীণ ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমানা বিরোধের জের ও হাতিয়ায় টোল আদায়কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৪০ জন। এ সংক্রান্ত আমাদের সংবাদদাতাদের পাঠানো প্রতিবেদন-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা জানান, সীমানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ধর্মতীর্থ গ্রামে হাজী হারুন মিয়ার বাড়ি ও আসমত রমুর বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ার গ্যাস ছুঁড়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গত বুধবার হারুন মিয়ার বাড়ির অহিদ মিয়ার সাথে প্রতিবেশী সৈয়দ মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে উভয় পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় থেমে থেমে চলে সংঘর্ষ। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলে উভয়পক্ষের মধ্যে খ-যুদ্ধ। সরাইল থানা পুলিশ লাঠিপেটা ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে দুপুর ১টার পর সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আনে। চার ঘণ্টার সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতদের সরাইল হাসপাতালসহ আশপাশের প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেন। সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রূপক কুমার সাহা জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
হাতিয়া (নোয়াখালী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নোয়াখালীর বিচ্ছিন্নদ্বীপ হাতিয়া পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড গুল্যাখালী চৌমুহনী বাজারের ইজারা (টোল) আদায় ও আদিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ৫ জনের অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায় তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড গুল্যাখালী চৌমুহনী বাজারের মালিক নজরুল ইসলাম ও তার পরিবার। কিন্তু অবৈধভাবে হাতিয়া পৌরসভার মেয়র বাজারের ইজারা (টোল) আদায়ের দায়িত্ব দেয় স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেলিম উদ্দিন ও সিরাজ উদ্দিন কয়ালকে। পরে বাজারের মালিকরা হাতিয়া পৌরসভার ইজারা (টোল) আদায়ের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করে। আদালত চৌমুহনী বাজারের মালিক নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারকে ইজারা (টোল) আদায় করার নির্দেশ প্রদান করে। আদালতের নির্দেশ মোতাবেক বুধবার রাতে চৌমুহনী বাজারের মালিক নজরুল ইসলাম ও তার পরিবার ইজারা (টোল) আদায় করা শুরু করলে স্থানীয় বাসিন্দা মো. সেলিম উদ্দিন, সিরাজ উদ্দিন কয়াল ও তাদের সন্ত্রাসীরা বাজারের মালিক নজরুল ইসলাম ও তার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলা করে বাজারে আদিপত্য বিস্তার করে এবং তাদের ওপর হামলা করে এলোপাতাড়ী মারধর করে তাদের ৮ জনকে মারাত্মক আহত করে ফেলে রেখে যায়। খবর পেয়ে হাতিয়া থানা পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহতরা হচ্ছেÑ মোঃ শরীফ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মোঃ খবির উদ্দিন, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ ডিপটি, মোঃ ইসমাইল হোসেন, মোঃ বেলাল উদ্দিন, মোঃ হেলাল উদ্দিন, জুয়েল উদ্দিন, মোঃ জাবের হোসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ৮ জনকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। মোঃ শরীফ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম, মোঃ খবির উদ্দিন, মোঃ ডিপটিসহ ৫ জনের অবস্থা বেশী খারাপ হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি।  আমি নিজেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মামলা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও হাতিয়ায় সংঘর্ষে আহত ৪০
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ