পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রওশন এরশাদের উপর আস্থা নেই তাই জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন দলের বেশ কয়েকজন প্রেসিডিয়াম সদস্য। গতকাল রাজধানীর বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে দলটির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথ সভায় এ দাবি জানানো হয়। সভায় উপস্থিত একাধিক নেতা ইনকিলাবকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল প্রায় সাড়ে তিন ঘন্টা ঘণ্টাব্যাপী চলা যৌথসভায় প্রেসিডিয়াম সদস্যরা জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা হওয়ার প্রস্তাব দেন। সভায় এরশাদের চেহলাম পালনের জন্য পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও এমপিদের এক লাখ টাকা করে দলীয় ফান্ডে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জিএম কাদের। সভায় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাসহ ৩৫ জন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক সূত্র জানায়, সভায় মূল আলোচনা হয়েছে এরশাদের চল্লিশা পালন ও বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন প্রসঙ্গে। এরশাদের শূন্য আসন রংপুর-৩ এর উপ-নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
সভায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা বলেন, এরশাদের চেহলাম কেন্দ্রীয়ভাবে রংপুরে করা উচিত। যেহেতু তাকে সেখানে কবর দেয়া হয়েছে। আর পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরকেই বিরোধী দলের নেতা বানানো প্রয়োজন। পার্টির অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, পার্টির সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যান যেকোনো বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। সেক্ষেত্রে চেয়ারম্যান চাইলে বিরোধী দলের নেতা হতে পারেন। প্রেসিডিয়াম সদস্য হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন বলেন, জিএম কাদেরকে বিরোধী দলের নেতা বানানো উচিত। কারণ, তার সঙ্গে পার্টির তৃণমূলের সম্পর্ক রয়েছে। আর পার্টির চেয়ারম্যান বিরোধী দলের নেতা হবেন-এটাই স্বাভাবিক। প্রেসিডিয়াম সদস্য এটিইউ তাজ রহমান বলেন, পার্টির গঠনতন্ত্র মোতাবেক দল পরিচালনা করতে হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সর্বসম্মতিক্রমে বিরোধী দলের নেতা নির্বাচন করতে হবে। দলের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী মামুনুর রশিদ বলেন, পার্টির গতিধারা অব্যাহত রাখতে জিএম কাদেরকে সংসদের বিরোধী দলের নেতা বানানো দরকার। উনি এ দায়িত্ব গ্রহণ করুক এটা নেতাকর্মীদের প্রত্যাশা।
পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের তার বক্তব্যে বলেন, জাতীয় পার্টি ঐক্যবদ্ধ আছে। জনগণের কল্যাণে যে ধরনের কর্মসূচি নেয়া দরকার তা ইতোমধ্যে করা হচ্ছে। বন্যা মোকাবিলা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও চামড়া ইস্যুতে আমরা রাজপথে সরব ছিলাম। আগামী ৩১ আগস্ট সারা দেশে একযোগে এরশাদের জন্য দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, বিরোধী দলের নেতা কে হবেন সে বিষয়ে সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্তু নেয়া হবে। যাতে পার্টিতে কোনো বিভেদ সৃষ্টি না হয়।
রংপুরের উপনির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উপনির্বাচনে রংপুরের স্থানীয় নেতাদের কাছ থেকে প্রার্থী হিসেবে ৪ জনের নাম চাওয়া হবে। তার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ সময় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, গঠনতন্ত্র মোতাবেক পার্টির চেয়ারম্যানকে সুপ্রিম পাওয়ার দেয়া আছে। আমাদের দলের মাঝে কোনো বিরোধ নেই। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বিরোধী দলের নেতা ও রংপুর-৩ আসনে মনোনয়ন দেয়া হবে।
এ ছাড়াও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ সাত্তার, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, মোঃ আবুল কাশেম, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু এমপি, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী, সালমা ইসলাম এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মিঃ সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, সোলায়মান আলম শেঠ, আব্দুর রশীদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী, পীরজাদা শফিউল্লাহ আল মনির, লেঃ জেনারেল (অব) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, সৈয়দ দিদার বখ্ত, জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, আলমগীর সিকদার লোটন, এমরান হোসেন মিয়া, সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ, পনির উদ্দিন আহমেদ, আদেলুর রহমান প্রমূখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।