মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় সেনারা কয়েকশ কাশ্মীরি ছেলেমেয়েকে তুলে নিয়ে গেছে এবং নারী ও তরুণীদের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। কারফিউ চলাকালে কাশ্মীরের বহু জায়গায় সরাসরি ঘুরে এসে একটি প্রতিবেদনে এমনটি দাবি করেছেন ভারতের কয়েকজন অর্থনীতিবিদ ও সমাজকর্মী। তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার প্রভাবশালী গণমাধ্যম বিজনেস ইনসাইডারে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তাতে ওই প্রতিবেদনকে অসমর্থিত আকারে উল্লখ করা হয়। গত বুধবার প্রকাশিত ‘খাঁচায় বন্দি কাশ্মীর’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে আঞ্চলিক পুলিশ, সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যরা শতশত বাড়িতে মধ্যরাতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। ৫ আগস্ট কারফিউ ধরনের কড়া নিয়ন্ত্রণ আরোপের পর প্রতিদিনই কোনো না কোনো জায়গায় অভিযান চালানো হচ্ছে। ঘুমন্ত বিছানা থেকে স্কুলছাত্র ও কিশোরীদের তাদের পরিবার থেকে ছিনিয়ে নেয়া হচ্ছে। অপরাধের ধরন উল্লেখ না করে প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, কর্মকর্তারাও রাতের অভিযান চলাকালে নারী ও তরুণীদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছেন। তবে ওই কর্মকর্তারা আঞ্চলিক সরকারের বাহিনীর নাকি ভারতীয় কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের তাও স্পষ্ট করে বলা হয়নি। তবে জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত পুলিশ, আধা সামরিক বাহিনী ও সেনাবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকারের নিয়ন্ত্রণে থেকে কাজ করে থাকে। স্থানীয় সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও দোকানিদের মধ্যে কয়েকশ সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন গবেষকরা। অর্থনীতিবিদরা জানান, ৯ থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত নিরাপত্তার কথা ভেবে কেউ দ্রুত ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তুলে নিয়ে যাওয়া সন্তানের কথাও গবেষকদের বলতে চাননি ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা। গ্রেপ্তার নির্যাতনের কোনো তথ্যপ্রমাণ প্রতিবেদনটিতে নেই। তবে ১১ বছর বয়সী বালক গবেষকদের জানান, ৫ থেকে ১১ আগস্ট পর্যন্ত সামরিক বাহিনীর হাতে আটক অবস্থায় নির্যাতন করা হয়। এ সময় আটক অবস্থায় ওই বালক তার সমবয়সী বা তার চেয়েও কম বয়সীদেরকেও দেখতে পেয়েছে। এ সময় বালকটির বাড়ি পশ্চিম কাশ্মীরের পাম্পুর শহরে। গত ৪ আগস্ট থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে কড়া নিরাপত্তায় ঢেকে ফেলা হয়। তার সপ্তাহ খানেক আগে থেকে মোট ৩৫ হাজার আধা সামরিক বাহিনীর সদস্যকে মোতায়েন করা হয় সেখানে। এই পদক্ষেপে জল্পনা তৈরি হয়, তাহলে কি জম্মু ও কাশ্মীর নিয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কেন্দ্র। প্রকাশ্যে সরকারিভাবে কোনো বিবৃতি না দেওয়া হলেও জঙ্গি আশঙ্কা করে হঠাৎ অমরনাথ যাত্রা বন্ধ করে দেওয়া হয়। পর্যটকদের ফেরত পাঠানো হয়। এ উপলক্ষে সেখানে ইন্টারনেট ও মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় ভারত সরকার। দুইজন সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আব্দুল্লাহসহ কয়েকশ কাশ্মীরি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে অনুচ্ছেদ ৩৭০ এবং ৩৫-ক বিলোপে রাষ্ট্রপতির সিলমোহর এবং সংসদের উভয় কক্ষে অতি সহজেই তা পাস করিয়ে নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। বিজনেস ইনসাইডার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।