বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
হায়রে জীবন! হায়রে স্বপ্ন!! মানুষ ভাবে এক, আর হয় আরেক!!! ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ কায়সারের রক্তের প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে নেমে যাওয়ায় পাগলের মতো আচরণ শুরু করে। চিকিৎসারত অবস্থায় এক পর্যায়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে সবার অজান্তে পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে ধরে পরিবারের হাতে তুলে দেয়। তারপর কবিরাজী চিকিৎসা ঝাড়ফুক! কিন্তু এডিস মশা তাকে বাঁচতে দেয়নি।
ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারানো মোহাম্মদ কায়সারের পরিবারে এখন চলছে শোকের মাতম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রাম। ওই গ্রামের বারামহাটি পাড়ার ছেলে মোহাম্মদ কায়সার। বাবার নাম সুরুজ মিয়া। সে আগামী ২০২০ সালের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ আর হলো না। গত বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে ডেঙ্গুর কাছে হেরে পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। স্বপ্ন তো নয়; এডিস মশার কাছে কলেজ ছাত্র মোহাম্মদ কায়সারের জীবনের পরাজয় ঘটে গেল।
১৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ কায়সার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরের স্থানীয় চাতলপাড় কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন। চটপটে কায়সারকে সবাই পছন্দ করতো। ওই কলেজের অধ্যক্ষ মো. ওমর আলী বলেন, কায়সার ঢাকায় গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে জ্বর নিয়ে গ্রামে ফিরে এলে তার পরিবারের সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পরীক্ষা করে জানতে পারেন কায়সার ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। চিকিৎসাও দেয়া হয়।
কায়সারের বড় ভাই মোহাম্মদ শফিকুল বলেন, ঢাকায় গিয়ে জ্বরে আক্রান্ত হয় কায়সার। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। দ্রæত তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ওইদিনই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে দুই দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে পালিয়ে যায়। তার মাথা ঠিক ছিল না; পাগলের মতো আচরণ করে। পরে রামপুরা থানার এক কর্মকর্তা তাকে উদ্ধার করেন। ওই পুলিশ কর্মকর্তা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুনরায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি বলেন, মূলত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হওয়ার পর তার রক্তের প্লাটিলেট ১০ হাজারের নিচে নেমে আসে। হঠাৎ সে পাগলের মতো আচরণ করতে থাকে। পরে বাড়িতে এনে স্থানীয় কবিরাজ দিয়ে চিকিৎসা করানো অবস্থায় মারা যায়। তাকে নিয়ে আমাদের পরিবারের যে স্বপ্ন ছিল তা ভেঙ্গে চূড়মার করে দিল এডিস মশা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।