মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীরের শ্রীনগরের হাসনাবাদ রেইনওয়ারির বাসিন্দা আলি মোহাম্মদ ভাট। মিথ্যা অভিযোগে আটক করা হয়েছিল তাকে। স¤প্রতি তিনি আরো দুই কাশ্মীরিসহ ভারতের জয়পুর আদালত থেকে মুক্তি পেয়েছেন। মাঝখানে কেটে গেছ দীর্ঘ ২৪ বছর। তবে এই দুই যুগ কারাবাসকালে তিনি একটি অসামান্য কাজ করেছেন। হাতে পাওয়া ডায়রিতে তিনি দুই দুই বার নিজ হাতে পুরো কুরআন মাজীদ লিখেছেন।
১৯৯৬ সালে সংঘটিত একটি বিস্ফোরণ মামলায় ২৪ বছর জেল খাটার পর গত স¤প্রতি মুক্তি পেয়েছেন আলি মোহাম্মদ ভাটসহ পাঁচ ব্যক্তি, তাদের মধ্যে তিনজন কাশ্মীরি। ১৯৯৬ সাল থেকে তারা বন্দি ছিলেন। এ সময় তাদের বিরুদ্ধে দিল্লি ও আহমেদাবাদের জেলে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
আলী মোহাম্মদ ভাট সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমি বল-পয়েন্ট পেন দিয়ে চারটি ডায়রিতে দুইবার পুরো কুরআন লিখেছি। তিনি বলেন, প্রথম কপিটি আট মাস লেগেছিল লিখতে। আর ৬ মাস সময় লাগে দ্বিতীয় কপিটি লিখতে।’
আলী মোহাম্মদ ভাট গণমাধ্যমকে জানান, তিনি পবিত্র আয়াতগুলো অনুলিপি করতেন কুরআনের একটি মুদ্রিত সংস্করণ থেকে। ডায়রিতে আয়াতগুলো লিখতেন এবং তিনি প্রতিদিন পবিত্র সে আয়াতগুলো পাঠ করতেন।
তিনি বলেন, ‘না, আমি হাফেজে কুরআন নই। আমার সংকীর্ণ কক্ষে পবিত্র কুরআনের একটি কপি আমার সঙ্গী ছিল। সেখান থেকেই কপি করতাম। আমার মনে হয়েছিল, এর মাধ্যমে আল্লাহর প্রতি আমার বিশ্বাস আরো বাড়বে এবং এটিই হবে কারাগারে সময় পার করার সবচেয়ে ভালো উপায়।’
আলী মোহাম্মদ ভাটের ছোট ভাই আরশিদ আহমদ বলেন, কারাগারে পবিত্র কুরআন লেখা ছাড়াও তার ভাই একটি ডায়েরি লিখতেন। যাতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ কিছু লেখার পাশাপাশি দিল্লির তিহার জেল ও জয়পুরের কেন্দ্রীয় কারাগারে কঠিন সময়গুলোর কথা লিখে রাখতেন। আরশিদ আহমদ বলেন, তার ভাই দীর্ঘ কারা জীবনে কিছু ইসলামিক কোর্সও সম্পন্ন করেছেন এবং সংশ্লিষ্ট ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সনদ পেয়েছেন। জেলে যাওয়ার আগে আলী মোহাম্মদ ভাট নেপালের কাঠমান্ডুতে কার্পেট ব্যবসা করতেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।