বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদুল আজহার ছুটির সাথে জাতীয় শোক দিবস ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ ৮ দিনের লম্বা ছুটিতে কক্সবাজার এখন পর্যটকে টৈটুম্বর। হোটেল-মোটেল রেস্টহাউজ-গেস্টহাউজ সবই পর্যটকে ভরপুর। কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ পর্যন্ত বিস্তীর্ণ সৈকত মুখর হয়ে উঠছে হাজারো পর্যটকের সরব পদচারণায়।
বৈরী আবহাওয়া, রাস্তা-ঘাটের দুর্ভোগ কিছুই যেন বারণ করতে পারছেনা ভ্রমণ পিয়াসুদের। ঈদের আগে থেকে কক্সবাজারে পর্যটক আসা শুরু হয়েছে। ঈদের পরে প্রতিদিনই বাড়ছে পর্যটক এই স্রোত।
এদিকে পর্যটকের এই স্রোত সামাল দিতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন কক্সবাজারের প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী। হোটেল মোটেল মালিক ও পর্যটন ব্যবসায় সম্পৃক্তরাও পর্যটকদের সেবায় তৎপর রয়েছেন সারাক্ষণ।
গতকাল সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সীইন পয়েন্ট, ডলপিন পয়েন্ট ও হিমছড়ি এবং ইনানী সৈকতে ঘুরে দেখাগেছে সর্বত্রই পর্যটকদের সরব পদচারণা। বৈরী আবহাওয়াতেও উন্মুক্ত সৈকতে ঘুরে বেড়ানো এবং সৈকতে গোসল করে ক্লান্তি কাটানোর স্পৃহা মোটেও কমেনি তাদের।
গত ৫ দিনে সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ও টেকনাফ সৈকত পয়েন্টে ৮ ছাত্র নিখোঁজ হয় এবং ৩ জন নিহত হয়। বৈরী আবহাওয়ায় সাগর খুবই উত্তাল এবং রাফ। তারপরেও হাজার হাজর পর্যটক সাগরে গোসল করে যেন তাদের তৃপ্তি মিটাচ্ছেন।
কক্সবাজার টুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি ফকরুল ইসলাম জানান, টুরিস্ট পুলিশ পর্যটন এলাকায় সার্বক্ষনিক পর্যটকদের সেবায় নিয়োজিত।
বৈরী আবহাওয়া সাগরে নামতে সতর্কতা সত্বেও সাগরে গোসল করার সময় স্রোতের টানে দুর্ঘটার বিষয়টি দুঃখজনক।
হোটেল মালিকদের মতে এবারে দীর্ঘ ছুটিতে বেশ ভালই পর্যটক এসেছে।
ঢাকা, সিলেট ও রাজশাহীর কয়েকজন পর্যটকের সাতে কথা বলে জানাগেছে, বেরী আবহাওয়া পর্যটনে কোন সমস্যা নয়। তবে মারাত্মক সমস্যা হল কক্সবাজারের বিপর্যস্ত রাস্তা ঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থা। তাদের মতে পর্যটন শহর কক্সবাজারের এই বিপর্যস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন সরকারের বড় বড় উন্নয়নকেই ম্লান করে দিচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।