গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
কোরবানির পশু জবাই শেষে আত্মীয়-স্বজন প্রতিবেশী কিংবা পার্শ্ববর্তী গরীব-মিসকিনদের মধ্যে মাংস বিতরণও চলছে। তবে এরমধ্যে অনেকেই বাড়ি ফিরছেন এই ঈদের দিনেও।
ত্যাগের মহিমার এই ঈদে সবাই যখন আনন্দ মেতেছেন আত্মীয় কিংবা প্রিয়জনদের বাসায় ঘুরতে বেড়িয়েছেন তখনও কিছু মানুষের ভিড় রাজধানীর গাবতলী, মহাখালী, ফুলবাড়ীয়া ও সায়েদাবাদ টার্মিনালে। ট্রেন বন্ধ থাকায় ঈদের দিন অবশ্য কমলাপুরে ভিড় নেই। এর আগে ঈদের নামাজ শেষেও বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিতে দেখা যায় অনেককে। বাবা-মা-স্ত্রী-সন্তানসহ প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দে অংশ নেয়াই তাদের উদ্দেশ্য।
গাবতলী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেউ যাচ্ছেন গ্রামের বাড়ি, আবার কেউবা ঘুরতে।
ব্যক্তিগত গাড়িতে নিকট দূরত্বে কেউ যাচ্ছেন সপরিবারে কিংবা বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে ঘুরতে। আবার কেউ যাচ্ছেন সিএনজি অটোরিকশায় চড়ে। গণপরিবহনের সংখ্যা কম হওয়ায় রাইড শেয়ারিং এ যাচ্ছেন নিকট দূরত্বের গন্তব্যে।
আব্দুল মান্নান নামে কল্যাণপুর ১১ নং সড়কের একটি ভবনের কেয়ারটেকার বলেন, মালিকের একটি গরু ও দু'টি খাসি কোরবানি হলো। সকাল সাড়ে ৭টায় ঈদের নামাজ পড়েই কোরবানির কাজ শুরু করে দিতে হয়েছে। কোরবানির কাজ মোটামুটি শেষ। এখন নিজের বাড়ি যাচ্ছি মানিকগঞ্জে। মালিকের দেয়া ঈদ বোনাস, ঈদ বকশিশ ও সঙ্গে কোরবানির মাংস নিয়ে ফিরছি পরিবারের কাছে।
নাটোরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বলেন, গতকাল সকালে ওঠার কথা ছিল দেশ ট্রাভেলসে। কিন্তু সড়কের অবস্থা আর শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাবো না। গতকাল আর যাইনি। কিন্তু আজ ঈদের নামাজ শেষে মা-বোনের ফোন। অনেক করে বলছিল ফিরতেই হবে বাড়ি। অবশ্য এখন রাস্তাও ক্লিয়ার। তাই ফের ব্যাগ গুছিয়ে টেকনিক্যাল শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে আসলাম বাড়ি যাবো।
ঈদযাত্রায় প্রাায় সব পরিবহনই কমবেশি শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে এবার। যে কারণে অনেকে বেশ ক’টি শিডিউলের ঈদযাত্রার বাস বাতিলও করে দিয়েছিল। তবে ঈদের দিনের জন্য ২/৩টি করে বাস রিজার্ভ রেখেছেন। আগে আসলে আগে যাবেন সিস্টেমে বাস ছেড়ে যাচ্ছে গন্তব্যে।
আবার অনেকেই ঈদের ছুটি কাটাতে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছেন কক্সবাজার কিংবা সেন্টমার্টিনে। রাজধানীর রাজারবাস্থ গ্রীনলাইন বাস কাউন্টারের সামনের ভিড় তাই স্পষ্ট করে।
রাজু নামে এক যাত্রী বলেন, গত ঈদের ন্যায় এবারও বেশ ক’দিনের ছুটি মিলেছে। বেসরকারি চাকরি করি। ঘোরার সুযোগ বিশেষ মেলে না। এই ঈদের ছুটিটাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে সপরিবারে যাচ্ছি কক্সবাজারে। আমার মতো আরও অনেকেই যাচ্ছে ভেবে ভালো লাগছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।