Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরগুলোতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে এসেছে

৩৬ঘন্টায় প্রায় ২০হাজার যানবাহন পারাপার

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ৮:৫০ পিএম

সীমান্তের ওপারের বালু মিশ্রিত প্রবল স্রোত আর নব্যতা সংকট অতিক্রম করে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সর্বাধিক সংখ্যক যানবাহন পারাপারের ফলে রাজধানীর সাথে দেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১টি জেলার সড়ক পরিবহন ব্যবস্থা তুলনামূলক ভাবে ভাল রয়েছে। তবে রবিবার সন্ধ্যা ৬টার পূর্ববর্তী ৩৬ ঘণ্টায় দেশের বৃহতম ফেরি সেক্টরগুলোতে প্রায় ২০ হাজার যানবাহন পারাপারের ফলে পরিস্থিতি পায় স্বাভাবিক হয়ে এসেছে।

এরমধ্যে রবিবার সকাল ৬টার পূর্ববর্তী ২৪ঘন্টায় দেশের প্রধান ফেরি সেক্টরগুলোতে প্রায় ১৫হাজার যানবাহন পারাপারের করা হয়। তবে এর পরেও বিভিন্ন ফেরি ঘাটগুলোতে অপেক্ষমাণ ছিল প্রায় হাজারখানেক যানবাহন। অবশ্য দিনভর আরো প্রায় ৬ হাজার যানবাহন পারাপারের ফলে সন্ধ্যা ৬টায় অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা ৫শর নিচে নেমে এসেছে। তবে অপেক্ষমাণ এসব যানবাহনের পুরোটাই ছিল পণ্যবাহী ট্রাক।

শনিবার সকাল ৬টার পূর্ববর্তী ২৪ঘন্টায় ইতিহাসের সর্বাধিক ১৭ হাজার ২১টি যানবাহন পারাপারের পরে রবিবার সকাল ৬টায় ঐ সংখ্যা ১৫ হাজারে হৃাস পায়। এবার মূলত বৃহস্পতিবার থেকেই রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ঘরমুখো যানবাহনের যাত্রা শুরু হওয়ায় রবিবার সকালের মধ্যেই বেশীরভাগ যানবাহন গন্তব্যে পৌঁছে। উপরন্তু বিআইডব্লিউটিসি’র বহরের ৫০টি ফেরির মধ্যে ৪৯টিই সচল থাকায় পারাপার পরিস্থিতি নিকট অতীতের তুলনায় ভাল ছিল। তবে সীমান্তের ওপারের বালু মিশ্রিত প্রবল শ্রোতের সাথে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত দূর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারনে ফেরি পারপারে প্রতিকুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বুধবার সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত মাওয়া, ভোলা ও চাঁদপুর সেক্টরে ফেরি চলাচল সাময়িক বন্ধ ছিল। তবে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবহাওয়া পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ান সম্ভব হয়েছে।
শণিবার সকাল পর্যন্ত আরিচা সেক্টরে ১০ সহশ্রাধীক যানবাহন পারাপারের পরে রবিবার সকাল ৬টার পূববর্তি ২৪ঘন্টায় ঐ সেক্টরের পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া রুটে ৮ হাজার ৭৬৫টি যানবাহন পারাপার সম্ভব হয়। তবে এরপরেও অপেক্ষমান ছিল আড়াই শতাধীক যানবাহন। সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ঐ সেক্টরে আরো প্রায় সাড়ে ৩ হাজার যানবাহন পারাপারের ফলে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা মাত্র ১২০টিতে হৃাস পেয়েছে।

অপরদিকে রাজধানীর সাথে বরিশাল ও খুলনা বিভাগ সহ ফরিদপুর অঞ্চলের ২১টি জেলার সংক্ষিপ্ত সড়ক পথের মাওয়া সেক্টরের শিমুলিয়া কাঠালবাড়ী রুটে রবিবার সকাল পর্যন্ত ১০ সহশ্রাধীক যানবাহন পারাপার করে নতুন রেকর্ড স্থাপনের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো দু শতাধীক যানবাহন। তবে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত এ সেক্টরের ১৮টি ফেরির ১৭টি যুদ্ধকালীন তৎপড়তায় আরো ২ হাজার ২শ যানবাহন পারাপারের ফলে অপেক্ষমানের সংখ্যা দেড়শতে নেমে এসেছে।

অপরদিকে চাঁদপুরÑশরিয়তপুর সেক্টরে ৫টি কে-টাইপ ফেরি রবিবার সকালের পূর্ববর্তি ২৪ ঘন্টায় ৪২৭টি যানবাহন পারাপারের পরেও অপক্ষোমান ছিল আরো অন্তত ১শ যানবাহন। তবে সন্ধা পর্যন্ত ঐ সেক্টরে ১৬৩টি যানবাহন পারাপারের ফলে অপেক্ষমান যানবাহনের সংখ্যা শূণ্যের কোঠায় নেমে আসে। চট্টগ্রাম-বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের ভোলা-লক্ষীপুর সেক্টরে রবিবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩শ যানবাহন পারাপার করে বিআইডব্লিউটিসি’র ৩টি কে-টাইপ ফেরি। তবে এসময়ে অপক্ষেমান ছিল আরো সোয়াশ যানবাহন। দিনভর ঐ সেক্টরে আরো ৯৭টি যানবাহন পারাপার করা হলেও সন্ধা ৬টা পর্যন্ত আরো শতাধীক অপক্ষেমান ছিল। ঐ একই মহাসড়কের ভোলা ও বরিশালের মধ্যবর্তি লাহারহাট-ভেদুরিয়ার সেক্টরে ৪টি ইউটিলিটি টাইপ ১ ফেরির সাহায্যে রবিবার সকাল পর্যন্ত ৩৭০টি যানবাহন পারাপারের পরেও অপেক্ষমান ছিল আরো প্রায় ১শ। তবে রবিবার সারা দিনে ঐসব যানবাহন পারাপারের ফলে সন্ধায় আর কোন যানবাহন অপেক্ষমান ছিলনা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ফেরি


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ