Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিক্ষোভে ধরপাকড়, কাঁদানে গ্যাস-গুলি

জম্মু ও কাশ্মীর ইস্যুতে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টে পিটিশন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১১ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০০ এএম

জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার এবং রাজ্যটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহর দল দ্য ন্যাশনাল কনফারেন্স। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে। শনিবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের সংসদ সদস্য আকবর লোন ও হাসনাইন মাসুদি এ আবেদন করেন। আবেদনে কেন্দ্রের পদক্ষেপকে ‘বেআইনি’ বলে দাবি করা হয়। এর আগে জম্মু-কাশ্মীরের সাবেক দুই মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ ও মেহবুবা মুফতিসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে ভারত সরকার। সেইসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরে অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর আগে, ধরপাকড় সত্তে¡ও ভারত সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরে। শুক্রবার কারফিউ কিছুটা শিথিল করার পর কমপক্ষে ১০ হাজার মানুষ বিক্ষোভে নেমে পড়েন প্রধান শহর শ্রীনগরে। এ সময় তাদের ওপর ভারতীয় পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ও গুলি নিক্ষেপ করেছে। পাঁচদিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করার পর শুক্রবার জুমার নামাজের পরে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। জম্মু ও কাশ্মীরকে নিজেদের কব্জায় নিতে ভারত গত সপ্তাহে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে। এই ধারার অধীনে কাশ্মীর স্বায়ত্তশাসন ভোগ করছিল। কিন্তু সেখানকার আঞ্চলিক নেতারা এর তীব্র বিরোধীতা করেছেন। গত প্রায় ৩০ বছর ধরে সেখানে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন কাশ্মীরের স্বাধীনতাকামীরা। এ লড়াইয়ে নিহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫০ হাজার মানুষ। পুলিশ বলছে, শুক্রবার শ্রীনগরের শূরা এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষ সমবেত হয়। আইওয়া ব্রিজ এলাকায় পুলিশ তাদের পিছু ধাওয়া করে। সেখান থেকে প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও গুলি ছুড়তে দেখা যায় পুলিশকে। তখন অনেক নারী ও শিশু পানিতে ঝাঁপ দেয়। শ্রীনগরের শেরে কাশ্মীর ইন্সটিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেসে এসব কথা বলেছেন ওই প্রত্যক্ষদর্শী। এই মেডিকেলে গুলিবিদ্ধ অনেককে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আরেকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, পুলিশ আমাদের ওপর দু’দিক থেকে আক্রমণ করেছে। পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, দুটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ১২ জনকে। তাদের গায়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, শুরা এলাকায় বিক্ষোভে সমবেত হয়েছিলেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। এ যাবতকালের মধ্যে এটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ। রয়টার্স, এক্সপ্রেস ট্রিবিউন, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ