মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বর্ষার টানা বৃষ্টি এবং এর ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে ভারতের ৯টি রাজ্যের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বন্যা ও ভূমিধসে কেরালা, মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৮৬-এ দাঁড়িয়েছে। শনিবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে। এর আগে শুক্রবার জানানো হয়েছিল, বন্যায় রাজ্যে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোজিকোন ও মালাপ্পুরম জেলায় মারা গেছে ২২ জন। এছাড়া গত ৮ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া অতিবর্ষণজনিত বন্যায় ওয়েইনাড়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে আটে দাঁড়িয়েছে। এক লাখেরও বেশি লোককে রাজ্যজুড়ে ৯৮৮টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। সবচেয়ে বাজে অবস্থা রাজ্যের ওয়েইনাড় জেলায়। এখানে গৃহহীন হয়ে পড়েছে ২৪ হাজার ৯৯০ জন মানুষ। এ খবর জানিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। দক্ষিণ-পশ্চিমের মালাবার উপকূল সংলগ্ন কেরালার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সেখানে মাত্র তিন দিনেই বৃষ্টি ও বন্যাজনিত কারণে ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে কর্মকর্তারা শুক্রবার জানিয়েছেন। এদিনও রাজ্যটির সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল; পরিস্থিতি মোকাবেলায় পিনারাই বিজয়নের সরকার সেখানে রেড অ্যালার্টও জারি করেছে। রানওয়ে পানিতে ডুবে যাওয়ায় রোববার বিকাল ৩টা পর্যন্ত কোচিন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সকল কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেরালার মালাপ্পুরাম জেলার নিলাম্বুরে ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ৩ জন নিহত হয়েছে; আরও প্রায় ৪০ জনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। সেনাবাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে দক্ষিণের এ রাজ্যটিতে ত্রাণ ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে ন্যাশনাল ডিজাস্টার রিলিফ ফোর্সের সদস্যরাও। এরই মধ্যে ২২ হাজারেরও বেশি মানুষকে তারা আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে এনেছেন। ভারতের সাউদার্ন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন্যাক্রান্ত পালাক্কাড বিভাগে ২০টি ট্রেনের যাতায়াত বাতিল করেছে; ওই এলাকার দুটি রুটে রেল যাতায়াতও স্থগিত রাখা হয়েছে। কেরালার বাইরে মধ্য প্রদেশ. কর্নাটক, তামিল নাডু, গোয়া, অন্ধ্র প্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, গুজরাট ও ওড়িষাতেও ব্যাপক বন্যার খবর পাওয়া গেছে। এসব রাজ্যে আরও দুই দিন তুমুল বর্ষণ হতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলেছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। টানা বৃষ্টিতে শুক্রবার কেরালার প্রতিবেশী রাজ্য কর্নাটকের কোডাগু জেলায় ভূমিধসে এক পরিবারেরই চারজনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যটির ৮০ হাজারেরও বেশি বাসিন্দাকে বন্যাপ্রবণ এলাকাগুলো থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। একদিনেই ৯১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত দেখা তামিল নাডুর নিলগিরিতে ৪ নারীসহ ৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় এক হাজার ৭০৪ জনকে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে সরিয়ে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী কে পালানিস্বামী। বন্যায় কোলাপুর ও সাংলিসহ মহারাষ্ট্রের পশ্চিমের ৫টি জেলার দুই লাখ ৮৫ হাজার বাসিন্দাকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়েছে। কৃষ্ণা ও পাঁচগঙ্গাসহ ওই অঞ্চলের বড় বড় সব নদীর পানিই উপচে পড়ছে। নর্মদার পানিও বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দক্ষিণ ও পশ্চিম ওড়িষায় গত সপ্তাহের তুমুল বৃষ্টিপাতে অন্তত তিনজনের মৃত্যু ও ২ জনের নিখোঁজ হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছিলেন রাজ্যটির কর্মকর্তারা। টাইমস অব ইন্ডিয়া, এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।