মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে বরফ গলা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবেশবিদেরা। কিন্তু তারই মাঝে বরফ গলা পানিকে কেন্দ্র করে কানাডার পূর্ব উপক‚লে গড়ে উঠেছে ব্যবসা। এমনই এক বরফ সংগ্রাহক কানাডার এডওয়ার্ড কিন। হিমশৈলের খোঁজে প্রতিদিন তিনি পাড়ি জমান উত্তর আটলান্টিকে। গ্রিনল্যান্ডের হিমবাহ গলা বরফের টুকরো সংগ্রহই তার উদ্দেশ্য।
প্রতিদিন সকালে তিন সহযোগীকে নিয়ে নৌকায় চেপে ‘সাদা সোনা’ অর্থাৎ হিমশৈলের খোঁজে পাড়ি দেন ক্যাপ্টেন কিন। উপগ্রহ মানচিত্র ব্যবহার করে ২৪ কিলোমিটার পাড়ি দিতে হয় সেন্ট জনসের বাসিন্দা কিনকে। গত ২০ বছর ধরে এ ভাবেই বরফ সংগ্রহ করে স্থানীয় কোম্পানিতে বিক্রি করেন বরফ গলা পানি। কখনও সেই পানি মিশিয়ে তৈরি করা হয় মদ, আবার কখনও তৈরি করা হয় প্রসাধন সামগ্রী।
পরিবেশবিদেরা জানিয়েছেন, বাকি বিশ্বের তুলনায় উত্তর মেরুতে তিন গুণ দ্রুত হারে বরফ গলছে। উত্তর মেরু সংলগ্ন অঞ্চলের এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়েই ফুলেফেঁপে উঠেছে কিনের ব্যবসা। কিন্তু কাজটা বেশ কঠিন। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দিনের মধ্যেই ফিরতে হয় কিনদের। বোনাভিস্তা উপসাগর ধরেই চলতে থাকে বরফের সন্ধান। কখনও কখনও বরফ ভাঙতে ব্যবহার করেন রাইফেলও। একের পর এক গুলিতে বরফ আলগা করার প্রয়াস চলতে থাকে। তবে রোজই যে এই পদ্ধতি কার্যকর হয়, তা নয়।
এই বরফ গলা পানির বাজারদর বোতল পিছু ১২ ডলার। পশ্চিম এশিয়ার ধনী ব্যক্তিদের কাছেই সরবরাহ করা হয় এই পানি। এমনই এক পানি বিক্রয়কারী সংস্থার কর্মী এলিজাবেথ গিøসন জানিয়েছেন, হিমশৈলের গলা পানি পৃথিবীর সবচেয়ে বিশুদ্ধ। সে কারণেই এর চাহিদা। তা ছাড়া ওক আইল্যান্ডে বেরি ও বরফ গলা পানি থেকে তৈরি করা হয় মদও। যে মদ বোতল পিছু ১০ থেকে ৯০ কানাডীয় ডলারে বিক্রি করা হয়। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।