Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শ্রীনগরের ৩০টি স্থানে বিক্ষোভ ছত্রভঙ্গ করতে ছর্রা গুলি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

কড়া নিরাপত্তা উপেক্ষা করেই কাশ্মীর উপত্যকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভের আঁচ। বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় শুধু শ্রীনগরের ৩০টি জায়গায় কার্ফ্যু অমান্য করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন মানুষ। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়েছে, ছোড়া হয়েছে বিতর্কিত ছর্রা (পেলেট) বন্দুকও। ছর্রা বুলেটের জখম নিয়ে শ্রীনগরের শের-ই-কাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সসে ভর্তি চার জন, যাদের মধ্যে তিন জনের বয়স ১৫ থেকে ১৮-র মধ্যে। আসন্ন ঈদের দিনেও নিরাপত্তা শিথিল করার ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে দিন বিক্ষোভ যাতে না-ছড়ায়, তার জন্য সিআরপি-কে বিশেষ ভাবে তৎপর থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। কার্ফু জারি থাকায় চার দিন সরকারি দফতরগুলি ছিল বন্ধ। সরকারি কর্মীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাজিরা দিতে বলেছেন মুখ্যসচিব। আটক পর্যটক ও বাইরের লোকেদের জন্য কয়েকটি সহায়তা কেন্দ্র চালাচ্ছে রাজ্য। কোথাও কোথাও খাবার বিলিও হয়েছে। রাজ্য প্রশাসন যে এ বার আরও তৎপর হচ্ছে, মুখ্যসচিবের নির্দেশে তা স্পষ্ট হয়েছে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে রাখতে কাশ্মীরের বিভিন্ন কারাগারে আটক প্রায় ৭০ জন সন্দেহভাজন জঙ্গি ও বিচ্ছিন্নতাবাদীকে আগরার জেলে সরিয়ে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও হুরিয়তের নেতাদেরও অজ্ঞাত জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দু’দিন আগেই লোকসভায় লাদাখের বিজেপি এমপি সেরিং নামগিয়াল দাবি করেছিলেন, তার কেন্দ্রের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মোদি সরকারের পাশে রয়েছেন। সেই কার্গিলে কাল হরতাল পালিত হয়েছিল। গতকাল ১৪৪ ধারার মধ্যেই দফায় দফায় বিক্ষোভ প্রদর্শন করে মানুষ। জয়েন্ট অ্যাকশান কমিটি-র ব্যানারে সব চেয়ে বড় মিছিলটিতে অন্তত ৩০০ মানুষ ছিলেন। কয়েক জনকে আটকও করা হয়। কার্গিলের ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা কামার আলি আখুন বলেন, ‘‘আমরা চাই লাদাখ, জম্মু ও কাশ্মীর মিলিয়ে একটাই রাজ্য থাকুক।’’ কংগ্রেস নেতা নাসির হুসেন মুন্সি বলেন, ‘‘আমাদের কথা বলার অধিকার কেড়ে নিয়েছে। শান্তিপূর্ণ মিছিলে বাধা দিয়েছে। এ ভাবে দাবিয়ে রাখা যাবে না।’’ এবিপি।



 

Show all comments
  • Md Ashif Ur Rahman ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    কাশ্মীরের সাথে যে কাজ ভারত করেছে, ঠিক একই কাজ ভারত সিকিম, আসাম, মেঘালয়, অরুণাচলসহ মোট ২৬৯ টি রাজ্য যা ১৯৪৭ সালে ভারত বা পাকিস্তান কোন দেশের সাথে যুক্ত না হয়ে স্বাধীনভাবে থাকতে চেয়েছিল তাদের সাথে করেছে। ১৯৪৭ সালে বাংলাদেশ যদি পাকিস্তানের সাথে যুক্ত না হয়ে শর্তসাপেক্ষে কাশ্মীরের মত ভারতের সাথে যুক্ত হত তাহলে কাশ্মীরের চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতি বাংলাদেশের হত। অসংখ্য ধন্যবাদ তখনকার মুসলিম নেতাদের তাদের এই দূরদর্শী সিদ্ধান্তের জন্য।
    Total Reply(0) Reply
  • Md. Rezaul Karim Chy ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৪ এএম says : 0
    কারফিউ জারি করে ফৌজি দিয়ে দমন নিপীড়ন করে একটি জনপদ কে বেশি দিন দমিয়ে রাখা যায় না।এই থমথমে অবস্থা যেই দিন বিস্ফারিত হবে সেদিন ব্রম্মন্যবাদী ভারত সরকার কাস্মিরের স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হবে।তখন মুদি নিজেই আফসোস করে বলবে কোন্ দুঃখে আমি 370 ধারা বাতিল করলাম?
    Total Reply(0) Reply
  • Shabnam Akter Ripa ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    দু্ঃখজনক হ‌চ্ছে, সকল কা‌ফের মুশ‌রিকরা ঐক্যবদ্ধ, অার মুস‌লিমরা অাত্মকল‌হে লিপ্ত !
    Total Reply(0) Reply
  • Md Kamal Uddin ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    এমন আগ্রাসি আছরন ৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি বাংলাদেশের মানুষের উপর চালিয়ে ছিলো বিনিময় খালি হাতে ফিরে গেছে হয়তো ভারতের বাগ্গে এমনটাই হবে ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Mehedi Hassan ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ আল্লাহ তা’আলা জালিমকে দীর্ঘ সময় দিয়ে থাকেন। অবশেষে যখন পাকড়াও করেন তখন তাকে আর রেহাই দেন না। অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করেন, “তোমার প্রভুর পাকড়াও এ রকমই হয়ে থাকে, যখন তিনি জুলুম রত জনপদগুলোকে পাকড়াও করেন। তাঁর পাকড়াও অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক, অপ্রতিরোধ্য”। [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম]
    Total Reply(0) Reply
  • Rehan Khan Hridoy ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
    কাশ্মীরীদের উপর ভারতীয় হানাদার বাহিনী যে অত্যাচার নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে এর প্রতিবাদ আমরা সকলেই নিজ নিজ স্থান থেকে করতে পারি। ভারতীয় নিম্নমানের গাড়ি, মটরসাইকেল সহ যত প্রকার যত ধরনের পন্য আছে, সেইসব ভারতীয় পন্য গুলো যতটা সম্ভব আমরা ব্যবহার থেকে বিরত থাকবো। এবং দেশীয় পণ্য ব্যবহার করে দেশের শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। ভারতীয় নিম্নমানের পন্য ব্যবহার বর্জন করলে তাদের মরন অস্ত্র কেনার অর্থের উৎস সংকুচিত হবে। তাই দক্ষিণ এশিয়ার শান্তি বজায় রাখতে হলে, এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে হবে এবং তা করতে হলে ভারতীয় আগ্রাসন রুখতে হবে। ভারতীয় আগ্রাসন রুখতে হলে, আমাদের রাষ্ট্রীয় জীবনে সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Anamul Haque ১০ আগস্ট, ২০১৯, ১:৪৭ এএম says : 0
    অত্যাচার হচ্ছে নিরিহ কাশ্মিরিদের উপর,,,মোদি সরকার এই অশান্তির কারন,,,কংগ্রেসের সময়টাই ভাল থাকে সাধারন ভারতিয়রা।
    Total Reply(0) Reply
  • Miah Muhammad Adel ১০ আগস্ট, ২০১৯, ৯:৫৮ এএম says : 0
    "Ghazwa-e-Hind (Arabic: غزوة الهند‎) or the battle of India is an Islamic term mentioned in some hadiths in particular[1] predicting a final and last battle in India and as a result, a conquest of the whole Indian subcontinent by Muslim warriors.[2][3][4][5] The term has recently become a subject of vast criticism in media for being used by militant groups to justify their activities in the Indian subcontinent.[6][7][8][9][10][11]" - Wikepedia
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ