মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন কেড়ে নেওয়ার পর চাপা ক্ষোভ আর কষ্ট বুকে চেপে কারফিউ যাপন করছে। নজিরবিহীন ধরপাকড় চালাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল ফোন সংযোগ। চলাফেরায় কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। গৃহবন্দি কিংবা আটকাবস্থায় স্থানীন নেতৃত্ব। এমন অবস্থায় ক্ষোভ আর কান্না আরও পুঞ্জিভূত হচ্ছে সেখানকার বাসিন্দাদের মধ্যে। কাশ্মীরবাসী মনে করছে, কারফিউ আর নিরাপত্তা চাদরে জড়িয়ে তাদের কণ্ঠস্বর চাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে তাদের ভূমি। কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল, অঞ্চলটিকে ভেঙে দুই ভাগ করা এবং সরাসরি কেন্দ্রীয় শাসনের অধীনে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত কার্যকরের আগেই সেখানে বিপুলসংখ্যক ভারতীয় সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। নতুন রাজনৈতিক পরিস্থিতির উত্থানে থমকে গেছে কাশ্মীরিদের জীবন। স্বায়ত্তশাসন হারিয়ে ভারতীয় সার্বভৌম রাষ্ট্রের আওতায় তাদের জীবনের অধিকার আগের থেকেও বেশি করে আটকে পড়েছে রাষ্ট্রীয় সেনা/নিরাপত্তা বাহিনীর সন্দেহের কারাগারে। অসুস্থ বাসিন্দাদের অ্যাম্বুলেন্স সেবা দিতে গিয়ে যেমন করে মার খেতে হচ্ছে ড্রাইভারকে, তেমনি প্রসব বেদনায় কাতর মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালের পথে বের হয়েও নিরাপত্তা চৌকিতে তল্লাশির মুখে পড়ছেন অসহায় বাবা; বলছেন, স্পষ্টত এটা জুলুম। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার থেকে স্ত্রী ও দুই সন্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি সেখানকার অ্যাম্বুলেন্স চালক গোলাম মোহাম্মদ মীর। তবে তাতে অসহায় রোগীদের সেবা দেওয়া বন্ধ রাখেননি তিনি। বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের অন্তঃসত্ত্বা মায়েদেরকে তিনি পৌঁছে দিচ্ছেন শ্রীনগরের মেজর লাল ডেড ম্যাটারনিটি হসপিটাল-এ। এ কাজ করতে গিয়ে কয়েক জায়গায় মারধরের শিকারও হতে হয়েছে তাকে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে মীর বলেন, ‘ভারতীয় সেনা ও তাদের চেক পয়েন্টগুলো ছাড়া সড়কে অন্য কোনও কিছু আর চোখে পড়ে না। রোগীদের সাহায্য করছি দেখে আমাকে কয়েকটি জায়গায় পেটানো হয়েছে। আমার অপরাধ কী?’ মীর জানেন তিনি কোনও অপরাধ করেননি। রবিবার রাত থেকে কাশ্মীরকে অচলাবস্থায় রাখা হয়েছে। সব ধরনের যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দিল্লিভিত্তিক একটি সাময়িকীর জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল-জাজিরাকে বলেন, ‘এ অচলাবস্থা নজিরবিহীন ঘটনা। আমাদেরকে ভিডিও এবং ছবি পেন ড্রাইভে সংরক্ষণ করে রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।