Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বঙ্গবন্ধু সেতু ডাবল লেন না হওয়া পর্যন্ত মুক্তি মিলবে না-রেলমন্ত্রী

ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ৩:১৭ পিএম

ঈদকে সামনে রেখে ঢাকা ছেড়ে বিভিন্ন গন্তব্যে পৌছার জন্য অনেকেই বেছে নিয়েছেন ট্রেন। অথচ রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাওয়া ট্রেনগুলো শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে। বেশিরভাগ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের পরে ছেড়ে গেছে। উত্তর বঙ্গের ট্রেনগুলো তিন থেকে পাঁচ ঘণ্টা পর্যন্ত বিলম্বে ছেড়েছে। এতে করে যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। গত দুই দিনে কমবেশি বিলম্ব হলেও ঈদ যাত্রায় আজ শুক্রবার এ চিত্র ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু সেতু ডাবল লেন না হওয়া পর্যন্ত এই বিপর্যয় থেকে মুক্তি মিলবে না। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন কমলাপুর স্টেশন পরিদর্শনে আসেন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতু ডাবল লেন না হওয়া পর্যন্ত এই বিপর্যয় থেকে মুক্তি সম্ভব না। এজন্য আগামী ২০২৩ সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। সেতুর লেন না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে গতি আরও কমে আসবে। ফলে বিপর্যয় আরও বাড়বে।’
উত্তরের সব ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়
কমলাপুর স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেস শুক্রবার সকাল ছয়টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ট্রেনটি স্টেশনে এসে পৌঁছায় সকাল সোয়া ১০টার পরে। এরপর ট্রেনটি ছাড়ার সম্ভাব্য সময় ১০টা ৪০ মিনিটে বলা হলেও ছেড়ে যায় সকাল ১১টায়।
কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের ভিড়
চিলাহাটীগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৮টায় স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও পরে ছাড়ার নির্ধারিত সময় দেওয়া হয়েছে বেলা ১২টা ৫ মিনিটে।
রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি সকাল ৯টায় ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও ১২টা পর্যন্ত স্টেশনে এসে পৌঁছায়নি। দিনাজপুর-পঞ্চগড়গামী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি কমলাপুর ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল ১০টায়। পরে সেটি স্টেশন ছেড়েছে সকাল সাড়ে ১১টায়।
বিপজ্জনক হলেও ছাদই যেন ভরসারাজশাহীগামী ধুমকেতু এক্সপ্রেসের ছেড়ে যাওয়ার নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৬টা। কিন্তু ট্রেনটি রাজশাহী থেকে ১০টা ১৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশনের ৭ নম্বর প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছায়। এসময় প্ল্যাটফর্মে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। মুহূর্তে হুরোহুরি করে যাত্রীরা সবাই একসঙ্গে ট্রেনে ওঠার চেষ্টা করেন। অল্প সময়ের মধ্যেই ট্রেন ভরে যায়। যাত্রীদের চাপ এত বেশি যে, ট্রেনজুড়ে পা ফেলারও জায়গাটুকুও আর অবশিষ্ট ছিল না।
দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করলেও অনেক যাত্রীই আসনে বসতে পারেননি। ভিড়ের কারণে আসন খুঁজে নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। একই অবস্থা দেখা গেছে, ট্রেনের ছাদেও। প্রতিটি ট্রেনের ছাদজুড়ে মানুষ আর মানুষ।
কমলাপুরে স্টেশনে রেলমন্ত্রীরংপুর এক্সপ্রেসের যাত্রী সাবানা আক্তার বলেন, ‘সকাল ৯টার আগেই স্টেশনে এসে পৌঁছেছি। এখন বেলা ১২টা। সম্ভাব্য সময়ও দেওয়া হয়নি। দুপুর দুটায়ও ট্রেনে উঠতে পারবো কিনা জানি না। বাচ্চাদের নিয়ে সমস্যায় পড়েছি।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয়
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ