Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ঘরে ফেরা শুরু

নাছিম উল আলম | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকার মুখে গতকাল বিকেল থেকে রাজধানীসহ চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চলে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের সাথে এসব অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার বেশিরভাগই নৌপথ নির্ভর। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ফেরি সেক্টরে ৩ হাজার যানবাহন আটকা পড়েছে।

এরই মধ্যে বুধবার মধ্যরাতে চাঁদপুরে মেঘনা-ডাকাতিয়া মোহনায় ঢাকা থেকে বরিশালগামী রকেট স্টিমার ‘পিএস মাহসুদ’ ৫ শতাধিক যাত্রী নিয়ে মূল ইঞ্জিনের ফ্লাই-হুইলের রাবার লাইলিং বিকট শব্দে ফেটে গিয়ে অকেজো হয়ে পড়ে। ফলে নৌযানটির যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। গতকাল ঢাকা থেকে বিকল্প নৌযানে আটকে পড়া যাত্রীদের উদ্ধার করে বরিশাল হয়ে পিরোজপুর পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া হয়েছে। পিএস মাহসুদ বিকল অবস্থায় চাঁদপুরে নোঙরে রয়েছে।

ফুসে ওঠা সাগর উজানের পানি গ্রহণ না করায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে খোদ বরিশাল মহানগরীর নিম্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ নবগ্রাম রোডের বেশ কিছু এলাকা বুধবার সকাল থেকে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। মেঘনা, তেতুলিয়া, আড়িয়াল খাঁ, বলেশ্বরসহ দক্ষিণাঞ্চলের প্রতিটি ছোট-বড় নদ-নদী দুকুল ছাপিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবারের মত বুধবার মধ্যরাতেও দেড় শতাধিক নৌযান চাঁদপুর ও বরিশালের মধ্যবর্তী মেঘনা অতিক্রমকালে চরম দুর্যোগের কবলে পড়ে। ঝড়ো হাওয়ার সাথে মাঝারী বৃষ্টির মধ্যে এসব নৌযানের হাজার হাজার যাত্রী চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠার মধ্যে মহান আল্লাহকে ডাকতে থাকেন।
অপরদিকে পদ্মা ও মেঘনায় প্রবল স্রোতে ফেরি চলাচলও যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুর্র্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বুধবার সকাল ও দুপুর থেকে ভোলা-ল²ীপুর, কাঠালবাড়ি-শিমুলিয়া এবং চাঁদপুর-শরিয়তপুর রুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় চরম নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গতকাল সকাল থেকে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হলেও মাওয়া সেক্টরের দু’প্রান্তে সহস্রাধিক যানবাহন আটকে ছিল।

এদিকে ঈদুল আযহার আগে গতকাল শেষ কর্মদিবসের পরে রাজধানীসহ চট্টগ্রাম অঞ্চল থেকে দক্ষিণাঞ্চচলের ঘরমুখী মানুষের যাত্রা শুরু হলেও আজ সকাল থেকে তা জনস্রোতে রূপ নেবে। আজ সকাল থেকে ফেরি সেক্টরের পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে যাবে তা বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ। তবে বিআইডবিøউটিসির চেয়ারম্যান প্রনয় কান্তি বিশ্বাস ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, সংস্থার ৫০টি ফেরিই যানবাহন পারাপারের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ৫টি যাত্রীবাহী নৌযানও সচল আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

তবে অসময়ে ছাড়ায় বিআইডবিøউটিসির দুটি নৌযানই ধারণক্ষমতার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গতকাল ঢাকা ত্যাগ করে। যাত্রীর আধিক্য না থাকলেও শুধুমাত্র কেবিন যাত্রীদের জন্য গতকাল সংস্থার দুটি নৌযান ঢাকা ছেড়েছে। অথচ ১১ আগষ্ট সর্বাধিক ভিড়ের দিন ঢাকা থেকে সংস্থার কোন বিশেষ সার্ভিস থাকছে না।
সংস্থাটির নৌযানে অনেক আগে বুকিং দিয়েও সাধারণ যাত্রীরা কেবিনের টিকেট পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে। সংস্থার কর্তাব্যক্তিদের ভাষায় ‘ভিআইপিদের টিকেট দিতেই তারা হিমশিম খাচ্ছেন’। তবে ভিআইপি কারা, তা বলতে পারেন নি কেউ।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দক্ষিণাঞ্চল


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ