বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ঈদ ঘনিয়ে এলেও কুড়িগ্রামে জমে ওঠেনি কোরবানী পশুর হাট। ভারতীয় গরু না আসায় প্রভাব পড়েছে হাটগুলোতে। দেশি গরু উঠেছে প্রচুর। তবে চড়া মূল্যের কারণে ক্রেতা ও পাইকাররা গরুর কাছে ভিড়তে পারছেন না। ফলে জমছে না বেচাকেনা।
গত বুধবার সরেজমিন জেলার সীমান্তবর্তী ভুরুঙ্গামারী হাটে গিয়ে দেখা যায় দেশি গরুর সমাহার। ভারতীয় গরু কম। স্থানীয় এবং বাইরের পাইকারদের কারণে বেড়ে গেছে কোরবানী পশুর দাম। বেশিরভাগ খামারীর কাছ থেকে গরু কিনে নিয়েছে পাইকাররা। এছাড়াও হাটগুলোতে এক পাইকার থেকে আরেক পাইকারের কাছে হাতবদল হচ্ছে গরু। ফলে মূল্য যাচ্ছে চড়ে।
খামারী ছামাদ ও তাইজুল জানান, প্রতিদিন দেড় থেকে দুই হাজার টাকা খরচ করে হাটে গরু নিয়ে আসছি। গরুর পিছনে অনেক খরচ হয়েছে। ফলে দামও একটু বেশি হচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম হাঁকছে না। আমাদের বাড়তি খরচ হচ্ছে। তবে ভারতীয় গরু না আসায় সন্তুষ্ট দেশি খামারীরা।
গরু কিনতে আসা ভূরুঙ্গামারীর পাটেশ^রী এলাকার আসাদ, মইনুল ও কাদের জানান, বাজারে প্রচুর দেশি গরু উঠেছে। ভারতীয় গরু না আসায় প্রভাব পড়েছে দেশিয় গরুতে। চড়া দামের কারণে কিনতে পারছে না ক্রেতারা। এছাড়াও হাট ঘুরে দেখা গেল ক্রেতার চেয়ে পাইকারের সংখ্যা বেশি। পাশর্^বর্তী লালমনিরহাট, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ থেকে পাইকাররা এসেছেন গরু কিনতে। বাজারে ভারতীয় গরু না আসায় হতাশ তারা। খামারের ও দেশি গরুর দাম অনেক চড়া হওয়ায় তারা বাজারে অলস সময় কাটাচ্ছেন। গরু কিনতে পারছে না।
লালমনিরহাট জেলার বড়বাড়ী এলাকার পাইকার মামুন জানান, অনেক আশা নিয়ে চারজন পাইকারসহ এখানে গরু কিনতে এসেছি। কিন্তু হাটে ভারতীয় গরু কম। বাকি সব দেশি।
ভূরুঙ্গামারী পশু হাটের ম্যানেজার রাশেদুন্নবী লালু জানান, ভারতীয় গরুর আমদানি কমে যাওয়ায় হাটে প্রভাব পড়েছে। সবাই বলছে দাম একটু চড়া। আশা করা যায় আগামী হাটগুলোতে ভারতীয় গরু আসলে দাম কমে যাবে। তবে প্রাণিসম্পদ বিভাগ বলছে, কোরবানীর জন্য দেড় লাখ দেশি গরু মজুদ আছে। ভারত থেকে গরু আমদানি না হলেও কোন সঙ্কট হবে না। জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছর জেলায় ২৮টি পশুর হাটে গরু বেচাকেনা হচ্ছে। খামারীর সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। এছাড়াও ৪২ হাজার পশু পালনকারী বাজারে গরু নিয়ে আসছে। দেশি গরুর কোন ঘাটতি নেই। বাজারও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার জানান, এবার ভারত থেকে কোন গরু আসছে না। কোরবানীর জন্য দেড় লাখ দেশি গরু মজুদ আছে। আশাকরি খামারীরা ভাল দাম পাবেন।
কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবি’র পরিচালক লে. কর্ণেল মো. জামাল হোসেন জানান, কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী সীমান্তের সালঝোর ও দিয়াডাঙ্গায় বটিকাটালের মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমতি সাপেক্ষে গরু আসে। কিন্তু ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ সন্ধ্যার পর সীমান্তে ১৪৪ ধারা জারী করার কারণে চোরাকারবারিরা অবৈধ পথে গরু নিয়ে আসতে পারে না। তাছাড়া বিজিবির কড়া নজরদারির কারণে অবৈধপথে গরু বা অন্যান্য মালামাল আসার সুযোগ নেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।