Inqilab Logo

রবিবার, ৩০ জুন ২০২৪, ১৬ আষাঢ় ১৪৩১, ২৩ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আমরা স্বাধীনতা হারালাম

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৯ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০২ এএম

নরেন্দ্র মোদির সরকারের এক ঘোষণায় স্বায়ত্তশাসন হারিয়েছেন কাশ্মীরের মুসলমানরা। ভারত সরকার জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয়ায় সেখানকার মানুষ তাদের জানমালের নিরাপত্তা- এমনকি সবক্ষেত্রে স্বাধীনতা হারিয়েছেন। ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা একটি অস্থায়ী সংস্থান (টেম্পোরারি প্রভিশন)। এ অনুচ্ছেদ বলে জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা ও বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছিল। সংবিধানের অন্যান্য ধারা অন্য সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলেও জম্মু-কাশ্মীরের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হতো না। গত সোমবার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় জম্মু-কাশ্মীর ৩৭০ অনুচ্ছেদের বিশেষ অধিকার হারাচ্ছে। এ ছাড়া হারাচ্ছে পূর্ণাঙ্গ রাজ্যের মর্যাদাও। ভেঙে দুই ভাগ করা হচ্ছে কাশ্মীরকে। জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছে। যে চুক্তির মাধ্যমে কাশ্মীর ভারতেন সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল, সেই চুক্তি বাতিল হওয়ার কারণে অন্যান্য রাজ্য থেকে কাশ্মীরে স্থায়ী আবাসস্থল গড়ে তোলা লাখ লাখ মানুষ এখন যে কোনো উপায়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছেন। হাজার হাজার মানুষ কাশ্মীর ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তাদের কেউ কেউ বাসস্থান না পেয়ে স্টেশনে বেশ কয়েক দিন কাটিয়ে দিয়েছেন। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না। জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পাশাপাশি সেখানে গত রোববার থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, কারফিউ চলছে প্রতিটা রাস্তায়, গলির মুখে নিরাপত্তা বাহিনীর পাহারা দিচ্ছে। দোকান, স্কুল-কলেজ, মোবাইল, ল্যান্ডলাইন ফোন, ইন্টারনেট পরিসেবা- এমনকি টিভি চ্যানেলগুলোও বন্ধ। কাশ্মীরের বেশিরভাগ নেতাই আটক হয়েছেন। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ এখনও ঠিক কিছুই বুঝতে পারেননি। বিবিসি।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ