Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কাশ্মীর মর্যাদা ফিরে পেতে পারে : অমিত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ আগস্ট, ২০১৯, ১২:০১ এএম

বিশেষ মর্যাদা শুধু নয়, রাজ্যের মর্যাদাটুকুও হারাল জম্মু ও কাশ্মীর। কাশ্মীরের জন্য থাকা সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ লোপ ও জম্মু-কাশ্মীরের পুনর্গঠন বিল আনার ফলে ভারতের মানচিত্রে বাড়তে চলেছে দু’টি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ। কেন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের মর্যাদা হারাল, শাসক শিবির তা আজ স্পষ্ট না করলেও, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদের কথা মাথায় রেখেই জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পেতে পারে জম্মু ও কাশ্মীর। সোমবার সংসদে জম্মু ও কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ বাতিলের পাশাপাশি ওই রাজ্যের পুনর্গঠন সংক্রান্ত বিলটি আনে বিজেপি। বিলে বলা হয়েছে, সন্ত্রাসবাদ দমন ও প্রশাসনিক সুবিধার কথা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যকে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। অমিত শাহ বলেন, লাদাখ এত দিন জম্মু ও কাশ্মীরের সাথে থাকলেও, সেখানকার ভূপ্রকৃতি ও জনসংখ্যার চরিত্র আলাদা। সেখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল লাদাখকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা ঘোষণার। অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা, সন্ত্রাসবাদের কথা মাথায় রেখে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত এলাকা করা হচ্ছে। অন্য কেন্দ্রশাসিত এলাকার মতোই এ ক্ষেত্রে রাজ্যের মাথায় থাকবেন উপরাজ্যপাল। সংবিধানের ৩৬০ অনুচ্ছেদে আর্থিক সঙ্কট ঘোষণা করার অধিকার থাকবে কেন্দ্রের হাতে। দিল্লির মতো জম্মু ও কাশ্মীরের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বও চলে আসবে কেন্দ্রের হাতে। এবিপি।



 

Show all comments
  • Md Abrar Ahamad Abrar ৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:০১ এএম says : 0
    ইনশাআল্লাহ কাশ্মীর আজাদ হবেই হবে,এত সংগ্রাম এত রক্ত কখনোই বৃথা যেতে পারে না, আর দখল দার ভারত এই ইস্যুকে কেন্দ্র করেই সুভিয়েত ইউনিয়নের মতো ভেঙ্গে টুকরো টুকরো হয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • আজহার আবেদ ৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:০৩ এএম says : 0
    এরা কি কখনো কাশ্মীরীদের চোখের দিকে তাকায় না? তাকালে দেখতে পেতো প্রতিটা চোখে ইন্ডিয়ার প্রতি কতটা ঘৃণা লুকিয়ে আছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Rafiqul Alam ৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 0
    একটি জনগোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করে ও তাদের মৌলিক অধিকার হরণ করে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তাদের ভাগ্য নির্ধারণ কতটুকুই যৌক্তিক তা বিশ্ববাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে। একটি জনগোষ্ঠীকে লাখ লাখ সৈন্য দিয়ে অবরুদ্ধ করে তাদের সাথে সম্পাদিত চুক্তি একতরফাভাবে রদ করা গণতান্ত্রিক আচরণ নয় বরং স্বৈরাচারী আচরণ যার পরিণতি শুভ হবেনা। কারণ এর সুদূরপ্রসারী মন্দ প্রভাব পুরো উপমহাদেশে ছড়িয়ে পড়বে।
    Total Reply(0) Reply
  • Manik Hasan ৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:০৭ এএম says : 0
    দখল দারিত্ব কায়েম করে কাশ্মীরের জনগণকে দাবায়ে রাখা যাবে না।
    Total Reply(0) Reply
  • Sanaullah Azad ৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:০৯ এএম says : 0
    কাশ্মী‌রের ৩৭০ ধারা বা‌তিল হওয়া‌তে না‌খো‌শের কিছু নেই।কারণ এতে কাশ্মী‌রের স্বাধীনতার পথ আরো প্রশস্ত হ‌লো।
    Total Reply(0) Reply
  • S M Sany ৭ আগস্ট, ২০১৯, ২:১১ এএম says : 0
    ভারতের জনগনের জিবন নিয়ে রাজনিতি করছে.মোদী..হতে পারে ভারত আর সব রাজ্যকে আটকে রাখতে পারবে না..খন্ড খন্ড হয়ে যেতে পারে ভারত.আর সেই রাস্তা তৈরী করছে মোদী.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ