Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আতঙ্কে স্বজনরা ছুটছেন বরিশালে: নেছারাবাদে ডেঙ্গুর বিস্তার

নেছারাবাদ (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৬ আগস্ট, ২০১৯, ২:০১ পিএম

নেছারাবাদ উপজেলায় ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিয়েছে। গত এক দিনে( ৫ জুলাই) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে দু‘জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এছাড়া আজ ৬ জুলাই(মঙ্গলবার) সকালেও একজন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিয়েছেন। এ নিয়ে গত দু‘দিনে মোট তিন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। রোগীরা ডাক্তারের শরনাপন্ন হয়ে প্যাথলজি টেষ্ট করে ডেঙ্গু ধরা পড়লেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সবাই বরিশাল শেবাচিম(শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়) ছুটে যাচ্ছেন। তবে অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাক্তাররা বলছেন ডেঙ্গুর চিকিৎসা তেমন কিছু জটিল নয়। জ্বর নিয়ে রোগীরা হাসপাতালে এসে টেষ্ট করিয়ে ডেঙ্গু ধরা পড়লেই সবাই আতঙ্গে বরিশাল শেবাচিমে যাচ্ছেন।


হাসপাতালের ডাক্তার মো. আসাদুজ্জামান বলেন, যারাই এখানে ডেঙ্গ জ্বর নিয়ে আসছেন তারা ঢাকা থেকে এডিশ মশার কামড় খেয়ে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আসছেন। তিনি বলেন, সাধারণত কাউকে এডিশ মশায় কামড়ালে চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে তার শরীরে জ্বর দেখা দেয়। তবে কোন কোন ক্ষেত্রে শরীরে জ্বর আসতে ১০ থেকে ১২ দিনও সময় লেগে যেতে পারে। এ পর্যন্ত যারাই এখানে চিকিৎসা নিতে এসেছেন তাদের সাথে কথা বলে জানাগেছে তারা জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পূর্বে ঢাকা থেকে গুরে এসেছেন। আবার কেউবা ঢাকার স্থায়ী বাসিন্দা হয়ে গ্রামে বেড়াতে এসেছেন।

গত সোমবার সকালে উপজেলার হরিহরকাঠি গ্রামের মো. মোজাহার আলীর মিয়ার ছেলে সোহেল(১৮) নামে শরীরে জ্বর নিয়ে আসেন হাসপাতালের ডাক্তার আসাদুজ্জামানের কাছে। এসময় ডাক্তার তাকে প্যাথলজি টেষ্ট করিয়ে দেখাতে বলেন। টেষ্টে সোহেলের শরীরে ডেঙ্গুর প্রমান মিলে। ডাক্তারের পরামর্শে তার স্বজনরা অনেকটা আতঙ্কে সোহেলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেলে নিয়ে যান। তবে বর্তমানে সোহেলে শারীরিক অবস্থা মোটামুটি ভাল আছে বলে জানান তার বড় ভাই মো. রুবেল হোসেন। ওই একই দিন সকালে নান্দুহার গ্রাম থেকে মুশফিকুর রহিম(১১) নামে এক ছেলে জ্বর নিয়ে ডাক্তারি পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতাল থেকে তার প্যাথলজি টেষ্ট করে শরীরে ডেঙ্গু জ্বরের প্রমান মিলে। ডেঙ্গু জ্বরের কথা শুনে মুশফিকের স্বজনরা আতঙ্কে তাকেও বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেলে নিয়ে যান। ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতেই গতকাল মঙ্গলবার সকালে সোহাগদল গ্রাম থেকে মাইনুল হাসান(২০) নামে আরেক রোগী শরীরে ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। কর্তব্যরত ডাক্তার আসাদুজ্জামান তাকে বরিশালে রেফার্ড করেন।


এ ব্যাপারে অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ তানভীর আহম্মেদ সিকাদর বলেন, যারাই ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে আসছেন তারা ঢাকা থেকে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আসছে। হাসপাতালে এসে রোগীরা ডেঙ্গুর কথা শুনে বরিশাল শেবাচিমে ছোটার কারন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসা তেমন কঠিন কিছু নয়। তবে আক্রান্ত রোগীরা আতঙ্কে হাসপাতাল থেকে বরিশালে ছুটছেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ডেঙ্গু

২৭ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ