মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন যে, তিনি ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আফগানিস্তান থেকে বেরিয়ে আসতে চান।’ সম্প্রতি দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কখনোই এই ‘অসম্ভব যুদ্ধে’ নামা উচিত হয়নি। খবর দ্য ডন।
সি স্প্যান টেলিভিশন নেটওয়ার্ককে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার চালিয়ে যাব। আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে চাই। তিনি আরও বলেন, ‘আমি এই উন্মত্ত যুদ্ধ থেকে বেরিয়ে আসতে চাই যা আমাদের কখনই শুরু করা উচিত হয় নাই।’
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, তার সহযোগীরাও এখন তালেবানদের সাথে একটি চুক্তিতে আসতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে এমন একটি সিদ্ধান্তে আসা যাবে যার ফলে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি থেকে মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহার করে নেয়া সম্ভব হবে।
বৃহস্পতিবার তালেবানের এক মুখপাত্র সুহেল শাহীনও বলেছিলেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও বিদ্রোহী তালেবানরা গত আট মাস ধরে যে চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছে তা চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তিটি আফগানিস্তানে বিদেশী সামরিক উপস্থিতির অবসান ঘটাবে। যদিও তিনি তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি করতে অস্বীকার করেছেন।
দোহার তালেবানদের রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে এই মুখপাত্র টেলিফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চুক্তির কাছাকাছি চলে এসেছি।’ আলোচকরা ‘সমস্ত বড় ইস্যুতে ঐক্যমতের কাছাকাছি চলে এসেছেন’ বলে জানান তিনি।
ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ঘোষণা করেছে, বুধবার সেক্রেটারি অফ স্টেট অফ মাইকেল পম্পেও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানিকে টেলিফোন করেছেন এবং দুই নেতা একমত হয়েছেন যে ‘সমঝোতার মাধ্যমে যুদ্ধের অবসান ঘটানোর প্রচেষ্টা ত্বরান্বিত করার সময় হয়ে গেছে।’
পম্পেও ফক্স নিউজে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে জোর দিয়ে বলেছেন, তিনি ‘সংঘাতের পরিধি সম্পূর্ণরূপে হ্রাস’ করা নিয়ে সেপ্টেম্বরের মধ্যে চুক্তিতে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ‘সত্যিকারের অগ্রগতি’ হয়েছে বলে আশা করছেন। তিনি জানান, এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত হবে আফগানিস্তানের দুই পক্ষের মধ্যে শান্তি আলোচনা, যাতে আফগান সরকারও অংশ নেবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপটি হবে আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ও মিত্রবাহিনী প্রত্যাহার শুরু করা।
এই সপ্তাহের শুরুতে ওয়াশিংটনের ইকোনমিক ক্লাবের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে পম্পেও জানান যে, ট্রাম্প ২০২০ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে আফগানিস্তানের বিষয়টি সমাধান করতে চান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।