মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
আবারও কাশ্মীরে ইস্যুতে মধ্যস্থতা করার আগ্রহ প্রকাশ করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বারও সেই প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখান করল ভারত। বৃহস্পতিবার কাশ্মীর ইস্যু খুঁচিয়ে তুলে ট্রাম্প বলেন, ‘কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বিষয়টি ভারত-পাকিস্তান দু’দেশের ব্যাপার। তবে তারা যদি মনে করেন এই সমস্যা সমাধানে আমার মধ্যস্থতা প্রয়োজন, অবশ্যই করব।’
ট্রাম্পের এই প্রস্তাবের পরই শুক্রবার প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ভারত। বর্তমানে ব্যাঙ্ককে পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের নিয়ে ইস্ট এশিয়া সামিট চলছে। সেখানে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর রয়েছেন। এ দিন তিনি টুইট করে জানান, কাশ্মীরের ব্যাপারে ভারতের স্পষ্ট অবস্থান জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আমেরিকাকে। মার্কিন সেক্রেটারি অব স্টেট মাইক পম্পেওর সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে তার। তখনই তিনি পম্পেওকে জানিয়ে দেন, কাশ্মীর নিয়ে কোনও ভাবেই তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতায় ভারত সায় দেয় না। এ ব্যাপারে যা করার ভারত-পাকিস্তান দু’দেশ মিলেই করবে।
বৃহস্পতিবারে এক সাংবাদিক বৈঠকে কাশ্মীরের প্রসঙ্গটি তোলেন ট্রাম্প। আগের দাবির প্রসঙ্গ টেনে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, ‘তার দেওয়া প্রস্তাব কি গ্রহণ করেছে ভারত-পাকিস্তান?’ এ ব্যাপারে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘মধ্যস্থতার বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গ্রহণ করবেন কি না সেটা তার বিষয়।’ এর পরই ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি দু’জনেই খুব ভাল ব্যক্তি। আশা করব, তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে। যদি তারা অন্য কারও মধ্যস্থতা চায়, তা হলে আমার আপত্তি নেই। পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হয়েছে এ ব্যাপারে। ভারতের সঙ্গেও খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে কাশ্মীরের বিষয়টি নিয়ে।’
গত সপ্তাহেই পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক করেন ট্রাম্প। সেখানে তিনি দাবি করেন, জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে তাকে মধ্যস্থতা করতে বলেছেন। তার এই দাবিকে ঘিরে জাতীয় রাজনীতি তোলপাড় হয়। উত্তাল হয় সংসদও। যদিও ট্রাম্পের সেই দাবি পুরোপুরি খণ্ডন করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়ে দেয়, ট্রাম্পকে এমন কোনও প্রস্তাব দেননি মোদি। সংসদেও এ কথা জানান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।