বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অনেক গো-খামারি অনুমতি পাননি এখনো
হাইকোর্ট তরল দুধ উৎপাদন ও সংগ্রহে স্থগিতাদেশ তুলে নেয়ায় পাবনার খামারিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তারা দুগ্ধ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করেছেন । তিন প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু করলেও এখনও শুরু করতে পারেনি ১১ দুগ্ধ সংগ্রহকারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে দুধ সংগ্রহ করছে রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিষ্ঠান মিল্কভিটা, প্রাণ ডেইরি ফার্ম এবং ব্র্যাক ডেইরি।
খামারিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত দু’দিন দুধ সংগ্রহ কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তারা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তবে তিন প্রতিষ্ঠান দুধ নেয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে খামারিদের মধ্যে। তবে দুগ্ধ সংগ্রহকারি প্রতিষ্ঠানের দুধ সংগ্রহের অনুমতি প্রদান করা হলে সকল খামারির মধ্যে স্বস্তি ফিরে আসবে বলে জানান স্থানীয় খামারিরা। পাবনায় দুধ সংগ্রহ ও উৎপাদনকারি খামারির সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। আর পাবনার ৯ উপজেলায় দুধ উৎপাদন হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ লাখ লিটার। প্রাপ্ত দুধ এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের চাহিদা মিটিয়ে খামারিরা বিভিন্ন কোম্পানির কাছে বিক্রি করে থাকেন। এ শিল্পের ওপর নির্ভর করে এ অঞ্চলে গড়ে উঠেছে গরুর খামার। তাই সকল দুগ্ধ সংগ্রহকারি প্রতিষ্ঠানকে দুধ সংগ্রহের অনুমতি দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন খামারিরা। গত দু’দিন সংগ্রহ বন্ধ থাকায় পানির চাইতে কম দামে দুধ বিক্রি করছে খামারিরা। প্রতি লিটার দুধ ১৫ টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে। অনেকে দুঃখে-ক্ষোভে দুধ রাস্তায় ফেলে দিয়ে প্রতিবাদ জানান। খামারিরা আশা প্রকাশ করছেন, শুধু ঐ তিন প্রতিষ্ঠান নয়, সকল খামারি দুধ উৎপাদন ও সংগ্রহ করতে পারবে বলে তাঁরা আশা করছেন।
পাবনার চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া, ফরিদপুর, বেড়া ও সাঁথিয়াসহ আশপাশের উপজেলার ১৫ হাজার দুগ্ধ খামার থেকে প্রতিদিন আড়াই লাখ লিটার দুধ উৎপাদন হয়। যা মিল্কভিটাসহ ১৪ কোম্পানিতে সরবরাহ হয়। হাইকোর্টের নির্দেশনায় এসব কোম্পানি উৎপাদন বন্ধের সিদ্ধান্তে দুগ্ধ সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন ব্যাংক ও এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করা এসব দুগ্ধ খামারি পড়েছেন চরম বিপাকে। তিন ডেইরি ফার্ম’র ওপর থেকে হাইকোর্ট নিষেধাজ্ঞা স্থগিত করেন। অন্য খামারিদের ক্ষেত্রে এখনও কোন সিদ্ধান্ত আসেনি। তবে খামারিরা আশাবাদি হাইকোর্ট খামারিদের দুধ উৎপাদন ও সংগ্রহে অনুমতি প্রদান করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।